ক্রমবর্ধন মানের জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে এবং নিরাপদ সবজি হিসাবে খ্যাত কন্দাল ফসল উৎপাদন ও খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করণে কৃষকদের কে সচেতন করার লক্ষ্যে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রবি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ১২০ জন কৃষক কৃষাণীদের কে ৪ ব্যাচে নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয় জাজিরা আয়োজনে উপজেলা পরিষদ পুরাতন ভবনের কনফারেন্স রুমে ৪ দিনে দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
গত ৬ নভেম্বর শুরু হওয়া প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম চলবে আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত।। এ প্রশিক্ষণে কন্দাল ফসলের গুরুত্ব, বিভিন্ন প্রকার কন্দাল ফসল চাষের অর্থনৈতিক গুরুত্ব, প্রচলিত শস্য বিন্যাসে কন্দাল ফসলের অন্তর্ভুক্ত, পতিত জমি উত্তম ব্যবহারে কন্দাল ফসল বিশেষ করে কচু জাতীয় ফসলের উৎপাদন নিশ্চিত করণ, বিভিন্ন প্রকার কন্দাল যেমন আলু, মিষ্টি আলু, ওলকচু, পানি কচু, লতিকচু,। মুখীকচু সহ গাছ এবং কাসাভা চাষের উৎপাদন প্রযুক্তি, রোগ বালাই প্রতিরোধ সহ শিল্পের কাচামাল হিসাবে কন্দাল ফসলের মূল্য সংযোজন নিয়ে সেশন পরিচালনা করেছেনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শরীয়তপুরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. রবিআহ নূর আহমেদ, অতিরিক্ত উপপরিচালক (পিপি) কৃষিবিদ মোঃ আবুল হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত উপপরিচালক ( হর্ট) কৃষিবিদ মোঃ রিয়াজুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জামাল হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বীথি রাণী বিশ্বাস এবং কৃষিবিদ মুসলিমা জাহান রুনিয়া। প্রশিক্ষণে প্রাপ্ত জ্ঞান নিজেদের খাদ্যাভ্যাসে কন্দাল ফসল সংযোজনে এবং কচু জাতীয় সবজি চাষের মাধ্যমে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে মত প্রশিক্ষণার্থীদের।
উল্লেখ্য এই গত মৌসুমে ৬ টি ব্যাচে মোট ১৮০ জন কৃষক কৃষাণীদের কে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে ফলে ইতিমধ্যেই অনেকে পুরাতন পদ্ধতি চাষ বদলে নতুন করে কন্দ ফসল আবাদ শুরু করেছেন বলে উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয় সুত্র মতে জানা যায়।। প্রশিক্ষণ শেষে কৃষকদের মাঝে সনদ পত্র বিতরণ করা হয়।