প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ২৮৫ জন প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায় পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে তাদের নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার চারটি পৃথক রিটে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এ রায় দেন।
রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তিনি বলেন, রিটকারীগণ শারীরিক প্রতিবন্ধী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, শ্রবণপ্রতিবন্ধী এবং বাকপ্রতিবন্ধী। ২৮৫ জনের মধ্যে প্রায় ৫০-৬০ জন দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তাদের অনেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
তিনি আরও বলেন, তারা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৮ এবং ২০২০-এর প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। পরে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন এবং মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, সেখানে কোনো প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে সুযোগ প্রদান করা হয়নি। অথচ সংস্থাপন মন্ত্রণালয় (বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) কর্তৃক জারীকৃত ১৭ / ০৩ / ১৯৯৭ তারিখের পরিপত্র অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর সহকারী শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করার বিধান রয়েছে।