বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে রবিবার (২৯শে অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় মহানগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে শান্তি মিছিল বের হয়। শান্তি মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে শান্তি ও উন্নয়নের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শান্তি ও উন্নয়নের সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল এঁর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু এঁর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, নগর শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা: সিরাজুম মুবিন সবুজ।
সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত আবারো আন্দোলনের নামে ২০১৩/১৪ এর মতো অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য করছে। গত শনিবার তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে, একজন পুলিশকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তাদের হামলায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছে। আগামীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামে ইস্পাত কঠিন ঐক্য নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের রাজনীতি রাজপথেই মোকাবিলা করা হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে স্বাধীন আমাদের এই দেশ। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপি-জামায়াত যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে তাদের এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথেই রুখে দিবো।
বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তারা আরো বলেন, আপনারা আজকে যে হরতাল দিয়েছেন বাংলাদেশের জনগণ তা প্রত্যাখান করেছে। আপনারা বলছেন রাজপথ নাকি আপনাদের দখলে! আসুন, দেখে যান রাজপথ কার দখলে, রাজপথ আমাদের দখলে, রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলে। আমরা অতীতে রাজপথে ছিলাম, বর্তমানেও রাজপথে আছি, ভবিষ্যতেও রাজপথে থাকবো। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আওয়ামী লীগ মানেই জনগণের সংগঠন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিল তিল করে তাঁর যৌবনের সমস্ত উত্তাপ দিয়ে তিনি দলটিকে সুসংগঠিত করেছিলেন। সেই দল আওয়ামী লীগকে দুর্বল ভাবেন না, শেখ হাসিনাকে দুর্বল ভাবেন না।
বক্তারা আরো বলেন, সংবিধান অনুযায়ি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাতে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য কোন কাজে আসবে না। আমরা সংবিধান অনুযায়ি নির্বাচনে অংশগ্রহন করবো এবং নির্বাচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করে দেশের চলমান গণতন্ত্র ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখার শপথ নিচ্ছি। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বলছি, তৃণমূল থেকে মহানগর পর্যন্ত নিজ নিজ অবস্থানে আপনাদের সকলকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। সেই সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এঁর উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ড জনসাধারণের সম্মুক্ষে তুলে ধরতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, নগরশ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, নগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, নগর তাঁতী লীগ সভাপতি আনিসুর রহমান আনার, সাধারণ সম্পাদক মোকসেদ-উল-আলম সুমন প্রমুখ।