নোয়াখালী সেনবাগে সাংবাদিক মোঃরেজাউল করিম রাজু’র উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বাদী হয়ে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমলী আদালতে পিটিশান মামলা দায়ের করেছেন৷ মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।আসামীরা হলো ১.আলা উদ্দিন(৫২),২.নাজিম উদ্দিন(৬০),৩.রেহানা আক্তার প্রঃমায়া(৪০),৪.আবদুল করিম প্রঃসজিব(২০),৫.আবদুল আহাদ প্রঃসানজিদ(১৮),৬.রাবেতা শাওরিন প্রঃতিশা(২২),৭.মোঃনুরুল ইসলাম ইমরান(২২)৷ সাংবাদিক মোঃরেজাউল করিম রাজু ‘বিএমএসএফ’সেনবাগ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক নোয়াখালী সময় পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ও দৈনিক দেশের পত্র উপজেলা প্রতিনিধি৷ জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং রোজ শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটার সময় সেনবাগ থানাধীন ৯নং নবীপুর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড বিষ্ণুপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়
এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও চিত্র ধারণ করাকে কেন্দ্র করে সকল আসামীগণ দলবদ্ধ হইয়া ভয়ংকর অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া সাংবাদিক মোঃরেজাউল করিম রাজু’র উপর বর্গীয় হামলা চালায়৷ এ ঘটনায়, সাংবাদিক মোঃরেজাউল করিম রাজু সেনবাগ থানায় অভিযোগ করে সুবিচার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমলী আদালতে ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩০৭/৩৭৯/৪২৭/৫০৬(২)৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন৷জানা যায়, ১নম্বর আসামী আলা উদ্দিন ৯নং নবীপুর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছে৷ ২ নম্বর আসামী নাজিম উদ্দিন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা৷ ৩ নম্বর আসামী রেহানা আক্তার প্রঃমায়ার এক ভাই প্রশাসনের কর্মকর্তা হওয়ার কারণে সব সময় ভাইয়ের ক্ষমতা দেখিয়ে চলেন৷আসামীদের বিরুদ্ধে পূর্বেও সেনবাগ থানায় গাছ কাটার মামলা রয়েছে৷ মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়,
আসামীগণ দুধর্ষ সন্ত্রাসী জবর দখলদার, ভূমিদস্যু ও লাঠিয়াল বাহিনীর লোক হয়৷ আসামীরা মারাত্মক অস্ত্র শস্ত্রে বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া সাংবাদিক মোঃরেজাউল করিম রাজু-কে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন৷ এবং সারা শরীরে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ফুলা নীলা এবং বেদনাদায়ক জখম করে৷ আসামীদের ঘুষির আঘাতে সাংবাদিক মোঃরেজাউল করিম রাজুর বাম চোখে গুরুতর জখম হয়৷ যার ফলে সাংবাদিক মোঃরেজাউল করিম রাজু বাম চোখে ঝাপসা দেখে৷ আসামীরা সাংবাদিক-কে আঘাত করলে তিনি মাটিতে পড়ে গেলে আসামীদের হাতে থাকা লাঠির আঘাতে সাংবাদিক মোঃরেজাউল করিম রাজু’র প্যান্টে-থাকা ভিডিও চিত্র ধারণের জন্য ব্যবহৃত আই ফোন 7+ ভাঙ্গিয়া ক্ষতি সাধন করে৷যার মূল্য ৯৬ হাজার টাকা৷ অন্যান্য আসামীরা সাংবাদিক মোঃরেজাউল করিম রাজু কে টানা হেঁচড়া করিয়া ট্রি-শার্ট ছিড়ে ফেলে যার আনুমানিক মূল্য ৮ হাজার এবং প্যান্টের পকেটের থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা আসামীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়৷ মামলা করেও সাংবাদিক মোঃরেজাউল করিম রাজু ও তার পরিবার কিশোরগ্যাংয়ের ভয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে৷ আসামীরা মামলা প্রত্যাহারে বাদীকে গুম ও খুনের হুমকি ধামকি দিচ্ছে৷