শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
Homeরাজনীতিশিক্ষিত বর্বর অশিক্ষিত বর্বরের চেয়ে ভয়ানক, ফখরুলকে নানক

শিক্ষিত বর্বর অশিক্ষিত বর্বরের চেয়ে ভয়ানক, ফখরুলকে নানক

spot_img

সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য শিক্ষিত বর্বর অশিক্ষিত বর্বরের চেয়েও ভয়ানক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল জানে না, পাকিস্তানিরা দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পুনর্গঠন করেছিলেন তার মৃত্যুর আগে জিডিপি ছিল ৯ ভাগ। খালেদা জিয়া-এরশাদ সরকার তো দূরের কথা আওয়ামী লীগ সরকারও এখন পর্যন্ত ৯ ভাগ জিডিপিতে পৌঁছতে পারেনি। কাজেই মির্জা ফখরুল সাহেব সাবধানে কথা বলবেন। ইতিহাস পরিসংখ্যান জেনে কথা বলবেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের ও একুশে গ্রেনেড হামলার মামলায় দণ্ডিত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকরের দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে যুব মহিলা লীগ।

এ সময় রাষ্ট্রকে মানবিক করার ক্ষেত্রে সর্বজনীন পেনশন চালু করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। অনেক উন্নয়নশীল দেশও এই দুঃসাহস করে না। আমরা সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ জন্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।

মানববন্ধনে বর্বরতম ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।

ভয়াবহ ২১ আগস্টের ঘটনা তুলে ধরে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে এই রাজপথে রক্তের প্লাবন বইয়ে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সেদিন হত্যার লীলাভূমিতে পরিণত করেছিল তারেক রহমান। সেদিন খালেদা জিয়ার সরকারের শাসনামলে কেন হাওয়া ভবন সরকার গঠন করা হলো খুনি তারেকের নেতৃত্বে। তার পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শান্তি সমাবেশে একটি, দুইটি, পাঁচটি নয়; ১৪টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হলো।

বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছেন, জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত নয়। আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী কে হয়েছে? সেই সুবিধাভোগী জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জেনারেল জিয়া অবৈধভাবে আইন লঙ্ঘন করে সেদিন হ্যাঁ-না ভোট দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আত্মস্বীকৃত খুনিদের এমপি বানিয়ে এনেছিলেন। মির্জা ফখরুল জবাব দেবেন, কী কারণে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের সংসদে এনেছিল।

এ সময় মির্জা ফখরুলকে ইতিহাস জেনে কথা বলার পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে নানক বলেন, এখন পর্যন্ত যাদের খুঁজে পাওয়া গিয়েছে তাদের মধ্যে নুর চৌধুরী আছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, কানাডায় আছেন মেজর কিসমত। আমাদের প্রশ্ন- এই খুনিরা যে দেশ দুটিতে রয়েছে সেই দেশ দুটি মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও সভ্যতার কথা বলে আর খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়। সেটা ধিক্কার জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।

মানববন্ধনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বাঙালি জাতির জীবনে শান্তি সৃষ্টি করতে হলে, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে হলে, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে বাঁচাতে হলে ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রক্ষা করতে হলে সেই খালেদা-তারেকের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে, পঁচাত্তরের খুনিদের এবং ২১ আগস্টের খুনিদের অবশ্যই বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়, গণতন্ত্র নিরাপদ নয়।

এ সময় বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ওপর বোমা মেরেছে, অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তার মানে এখনো তারা ধ্বংসের পথে হাঁটছে। এখনো জঙ্গিবাদীগোষ্ঠীর উত্থান ঘটুক তা তারেক রহমান চায়। রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে থাকা সেই দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুনতানা লিলির সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফারজানা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক নিলুফা রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি তাহেরা খাতুন লুৎফা, সাধারণ সম্পাদক শামীমা রহমান।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ খবর

spot_img
আরও খবর
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here