রংপুর হলিক্রিসেন্ট হসপিটালের বিল পরিশোধের অজুহাত ও অসহায়ত্বের সুযোগে এক নবজাতককে বিক্রির ঘটনায় ক্লিনিকের পরিচালকসহ তিন জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
রবিবার বিকাল ৪টায় নগরীর নবাবগঞ্জ ফাঁড়ির ডিসি ক্রাইম কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।
তিনি জানান, গত ১৩ জানুয়ারি রংপুর মহানগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকার হলিক্রিসেন্ট হসপিটলের ২০২ নং রুমে প্রসববেদনা নিয়ে ভর্তি হন ভুরারঘাট এলাকার ওয়াসিম আকরামের স্ত্রী মোছা. লাবনী (২২)। ওই দিন দিবাগত রাত ১টার দিকে সিজারের মাধ্যমে একটি নবাজাতক শিশুর (ছেলে) জন্ম দেন তিনি। পরে ১৭ জানুয়ারি সকালে ক্লিনিকের বিল পরিশোধে ব্যর্থতার অজুহাত এবং অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে প্রসূতি মায়ের অগোচরে এবং বাবা ওয়াসিম আকরামের সহযোগিতায় নবজাতক শিশুকে রতন নামের এক ব্যক্তির কাছে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। এই কাজে জড়িত ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক এমএস রহমান রনি ও তার পূর্বপরিচিত জেরিনা আক্তার বিথী।
পরবর্তীতে নবজাতক শিশুর মা আরপিএমপি কোতয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে নগরীর পীরজাবাদ এলাকা থেকে রবিবার নবজাতককে উদ্ধার এবং তিনজন গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রংপুর নগরীর মধ্য পীরজাবাদ এলাকার সামসুল ইসলামের ছেলে রুবেল হোসেন রতন (৩০) এবং তার স্ত্রী জেরিনা আক্তার বিথী (৩০), কামারপাড়া বাবুখাঁ এলাকার মৃত নজির উদ্দিন সরকারের ছেলে (হাসপাতালের পরিচালক) এমএস রহমান রনি (৫৮)। তবে নবজাতকের বাবা ওয়াসিম আকরাম পলাতক রয়েছেন।