পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দূর করতে ওষুধ নয়, বরং ঘরোয়া টোটকাতেই ভরসা রাখুন। রোজের ডায়েটে রাখতে হবে এমন কিছু পানীয় যা পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে পেটের যন্ত্রণা থেকেও রেহাই দিবে।
১, আদার চা
পানিতে আদা কুচি দিয়ে ১০ মিনিট ধরে ফোটান। তারপর তাতে মধু ও লেবুর রস দিয়ে খেলে পিরিয়ডের সময়ে পেটের যন্ত্রণা কমে যাবে। আদার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা থেকেও রেহাই দেবে। সকালে ও বিকালে এই চা খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে দুধ চা না খেয়ে যদি আদা চা খেতে পারেন, তাহলে উপকার বেশি হবে।
২, মৌরির চা
এক কাপ পানিতে এক চা চামচ মৌরি নিয়ে ভালো করে ফোটাতে হবে। তারপর ছেঁকে গরম গরম খেতে হবে। মৌরির চা পেট ফাঁপার সমস্যা দূর করে। থাইরয়েড কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো রোগও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। মহিলাদের পিরিয়ডের ব্যথা নিরাময়েও দারুণ উপকারী। সকালে খালি পেটে এই চা খেলে উপকার বেশি হবে।
৩, হলুদ দুধ
এক গ্লাস দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খেলে বা প্রাকৃতিক ব্যথানাশকেরই কাজ করবে। হলুদে রয়েছে কারকিউমিন যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হলুদ মেশানো দুধ খেলে অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দূর হবে।
৪, আনারসের রস
আনারস ছোট টুকরো করে নিয়ে মিক্সারে পিষে নিতে হবে। তারপর ছেঁকে সেই রসটা খেলে অনেক উপকার হবে। ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস-সহ একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুরএই আনারস! এতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। পিরিয়ডের যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে আনারসের রস। তবে যদি অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়েই খাওয়া উচিত।
৫, গাজরের রস
গাজরে ভরপুর মাত্রায় বিটা ক্যারোটিন থাকে। এই সবজিতে লুটেইন ও জিয়াক্সানথিন নামক ক্যারোটিনয়েড জাতীয় উপাদান থাকে যা শরীরের জন্য ভালো। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। হরমোন জনিত যে কোনো সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে গাজরের রস।