ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিঃ মিঃ দুরে সর্ব উত্তরে হাওড় বেষ্টিত অঞ্চল নাসিরনগর।এক সময় নাসিরনগরকে বলা হতো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পশ্চাদপদ একজনপদ।আর এখন নাসিরনগরের সর্বত্রই বিরাজ করছে মাদক।এক কথায় নাসিরনগর এখন মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে।এই মাদকের ছড়াছড়ির জন্য অনেকে আবার যোগাযোগ ব্যবস্থাকেই দায়ী করছে।অনেকেই বলছে এ সমস্ত মাদক বিজয় নগর উপজেলার চান্দুরা,হরশপুর,মেরাশানী থেকে সড়ক পথে মাধবপুর হয়ে সহজে নাসিরনগরের বিভিন্ন ইউনিয়নে ও পরে গ্রামে ডুকে পরে।
আর এ সমস্ত মরণনেশা মাদকের কারনে যুব সমাজ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।আর মাদকে আকৃষ্ট হয়ে অনেক যুবকই আজ বিভিন্ন অপরাধমুলক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।তাই যুব সমাজকে রক্ষা করতে মাদক বন্ধ করা একান্ত আবশ্যক বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের মাঝে সব চেয়ে মাদকের বেশী ছড়াছড়ি রয়েছে ধরমন্ডলে।তাছাড়াও যে সমস্ত ইউনিয়নে মাদকের বেশী ছড়াছড়ি রয়েছে সেগুলো হল ফান্দাউক চাতলপাড়,গোয়ালনগর,ভলাকুট,গোর্কণ,হরিপুর,গুনিয়াউক,কুন্ডা ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে।উল্লেখযোগ্য মাদকের মাঝে রয়েছে মরণনেশা ইয়াবা বা বাবা,ফেনসিডিল,গাঁজা,ছোলাইমদ ও সল্পসংখ্যক হিরোইন।সম্প্রতি নাসিরনগর থানা পুলিশ কিছু দিন পূর্বে গোপন সুত্রের ভিত্তিতে ধরমন্ডল থেকে কামরুল নামের এক যুবককে ছশত ফিস ইয়াবা ও ৫০ গ্রাম হিরোইন সহ গ্রেপ্তার করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।সম্প্রতি নাসিরনগর সদরে প্রায় সাত মন বাংলা ছোলাই মদ জব্দ করে থানা পুলিশে সোর্পদ করে এক ছাত্রলীগ কর্মী।১৭ নভেম্ভর ফান্দাউকের দুই মাদকসেবী ডেঙ্গু মিয়ার ছেলে ইসমাইল ও মতিন মিয়ার ছেলে রুমান মিয়াকে মোবাইল চোর সন্দেহে আটক করে ইউপি সদস্য জাকারিয়া জাকির সহ স্থানীয়রা গণধোলাই দেয়।ভলাকুট ইউনিযনের ভলাকুট বাজারে সাত্তার মিয়ার ঘরে ও গোলাপ খার পুরি সিঙ্গারার দোকান আর হোটেলের ভেতরে দিনরাত প্রকাশ্যে চরছে বাদক বিক্রি আর সেবন।
মাদক বিক্রেতারা সুন্দর সুন্দর প্যান্ট শার্ট আর জামা কাপড় পড়ে ভদ্রবেশে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে পকেটে করে বিক্রি করছে এ সমস্ত মরণনেশা বাবা আর ইয়াবা।অনেকেই আবার বিভিন্ন রাস্তাঘাটে,হাটেবাজারে সদরে, বিভিন্ন সিএনজি স্টেশন,ইটভাটা আর জনসমাগম আছে যেখানে সেখানেই এ সমস্ত মাদক বিক্রি করছে।
বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্বাচিত কয়েকজন জনপ্রতিনিধির বিরোদ্ধেও রয়েছে মাদক বিক্রির অভিযোগ।নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ লতিফ হোসেনের ভাতিজা রাজিব ও বড়সড় ভাবে ইয়াবা ব্যবসা শুরু করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।চাচা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে রাজিব মাদক ব্যবসার পাশা পাশি শুরু করে বেপরোয়া জীবণযাপন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন,গ্রাম ও প্রান্ত থেকে মাদক ব্যবসা নির্মুলে এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করতে পুলিশ প্রসাশন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগী সহ এলাকার সচেতন মহল।