বেনাপোল প্রতিনিধি :
গত ২২ জানুয়ারি যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা সীমান্তে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) গুলিতে নিহত এক বিজিবি সদস্য রইস উদ্দিনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর এবং ভারতের গাঙ্গুলিয়া সীমান্তে লাশ হস্তান্তর করা হয়।বুধবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)’র কাছে দুইদিন পর যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর সীমান্ত দিয়ে বিজিবি সদস্য রইস উদ্দিনের লাশ হস্তান্তর করা হয়।
যশোর ৪৯-বিজিবির কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল ও সহকারি পরিচালক মাসুদ রানা লাশ গ্রহন করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। সেখান থেকে যশোর বিজিবি ব্যাটালিয়নে নিয়ে যাওয়া হবে।পরে সেখান থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ পাঠানো হবে।
তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর সাহাপাড়া গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে।
বিজিবি জানায়, যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা সীমান্তে গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোরে চোরাকারবারিরা ভারত থেকে চোরাই পথে গরু আনছিল। বিষয়টি টের পেয়ে বিজিবি সদস্যরা চোরকারবারিদের ধাওয়া দিলে তারা ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিজিবি সদস্য রইস উদ্দীন ঘনকুয়াশার কারনে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রথমে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন মাধ্যমে জানা সে বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয়। এ সময় বিএসএফের তরফ থেকে জানানো হয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উক্ত বিজিবি সদস্য মৃত্যুবরণ করেছে।
লাশ হস্তান্তরের বিষয়ে যশোর ৪৯-ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্ণেল আহমেদ হাসান জামিল বলেন, বিএসএফ’র গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য রইস উদ্দিনের লাশ বিএসএফের নিকট থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে যশোর বিজিবি ব্যাটালিয়নে নেয়া হবে। পরে গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদ লিপি প্রেরণ করা হয়েছে।