বরিশাল প্রতিনিধিঃ বরিশালের হিজলা উপজেলায় নৌকার এক সমর্থকের দুই হাতের রগ কাটার পর এবার বসতঘরে আগুন দিয়েছে স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় উপজেলার গৌরবদী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ নির্বাচনের হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ আসনের নৌকা প্রতীক পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ। যদিও দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনুনি তিনি। আর এ সুযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আসনটিতে প্রতিদ্বন্ধী কোন প্রার্থী না হওয়ায় বর্তমান সাংসদ পঙ্গজ দেবনাথ পুনরায় বিজয় লাভ করেন। আর এরপর পরই শাম্মী আহমেদের অনুসারীদের ওপর একের পর এক হামলা-ভাংচুর, মারধর কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করে নানা সহিংসতামুলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে চলেছেন পঙ্কজের অনুসারীরা বলে অভিযোগ উঠেছে।
গৌরবদী ইউনিয়নের মান্দ্রাতর কুশুরিয়া এলাকার নৌকা প্রতীকের সমর্থক শাহাবুদ্দিন মিয়ার ছেলে ইউসুফ মিয়া জানান, আমি ১০/১২ বছর ধরে পঙ্কজ দেবনাথের অনুসারী হয়ে কাজ করেছি। গত বছর থেকে ড. শাম্মী আহমেদের হয়ে কাজ করছি। এরপর থেকেই সাংসদ পঙ্গজ নাথের স্থানীয় অনুসারীরা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদর্শন করে আসছিল।
এরই ধারবাহিকতায় গত গত ৫ জানুয়ারি পংকজ নাথের অনুসারী জহিরুল, ইয়ামিন রাসেল, শামীম একপর্যায়ে আমার ওপর হামলা চালায়।
আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে মারধর করে দুই হাতের রগ কেটে দেয় তারা। পরে স্থানীয় ও স্বজনরা আমাকে উদ্বার করে হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তারা চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হলে আমাকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৪দিন আমি চিকিৎসাধীন ছিলাম।
এরপর আমি হিজলা থানায় অভিযুক্ত ৪ জনের বিরুদ্বে মামলা দায়ের করি। এর আগে মামলা দায়ের করলে আমাকে পঙ্কজের অনুসারী ফখরুল বেপারী মামলা দেয়া যাবেনা বলে হুমকি দেয়। আমি মামলা দিলে আমাকে ও শাম্মী আপাকে অশ্লীল গালিগালাজ করেন।
এদিকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলে থানার পুলিশ কর্মকর্তার সামনে পঙ্কজের অনুসারী ফখরুল বেপারীর ছোট ছেলে রবিউল আমার দুই হাতের কবজি কেটে দেয়ার হুমকি দেন। এতে আমি ভীতসন্ত্রস্ত্র হয়ে বাড়ি থেকে আত্নীয়দের বাসায় যাই।
এরপর আমার শ্বশুড় আমাকে জানান, আমার বসতবাড়ীতে আগুন দিয়ে ঘরের সব আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আমি এঘটনায় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।