দুমকি উপজেলা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলাস্থ বিভিন্ন এলাকায় চলছে জমজমাট মাদক ব্যবসা, আসক্ত হচ্ছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। দুমকিতে হাত বাড়ালেই ভিন্ন পেশার মানুষ যত বাড়ছে বিভিন্ন প্রকারের দেশী বিদেশী লোকের সমাগম ঘটছে ।
প্রশাসন নামে মাত্র মাঝে মধ্যে চালাচ্ছে মাদক অভিযান। থানা পুলিশ নির্বিকারে বেড়েই চলছে মাদক সেবন, বিক্রিতে ছিনতাই সহ বিভিন্ন আপরাধ মূলক কর্মকান্ড। মাদকের বিরুদ্বে রুখে দাড়ালে ভবিষ্যৎ একদম মেধাশূন্য হয়ে পড়বে বলে আশাংকা করেছেন অভিভাবকরা। দিনে বেচা বিক্রি, সেবন চললেও সন্ধ্যার পর বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাট বাজারের অলিতে গলিতে চায়ের দোকান রেস্তেরায় কিংবা গাঁজার আসর বসে বিভিন্ন গোপন স্থানে মাদক উপজেলার পাংগাশিয়া, লেবুখালী, আংগারিয়া, শ্রীরামপুর, মুরাদিয়ায় প্রায় অর্ধশত স্থানে। ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, মদ খেয়ে অনেকে মরণ নেশায় জড়িয়ে যায়।
তারা মাদক পেতে সাংকেতিক শব্দ ব্যবহার করে থাকে। অনুসন্ধানে জানা যায়, মাদক সেবন কারীদের মধ্যে স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যাই অনেক বেশি। অটো রিকশা, রিকশা, মাহেন্দ্রা, মটরসাইকেল চালকরাও সেবন ও বিক্রি করছে। বিপদগামী সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পরেছেন পিতা মাতা নিকটাত্মীয় স্বজন। এমনকি মাদকাসক্ত সন্তানের অত্যচারে অনেক পরিবার লোকজনের কাছে না বললেও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ ঘর থেকে নগদ অর্থ স্বর্নালংকার কিংবা সম্পদ নিয়ে চুরি করে বিক্রি করে নেশা করেন। বাধা দিতে গিয়ে অনেক পিতা মাতা তাদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন।
এমনকি এসব নেশার টাকা জোগারে তারা রাস্তা ঘাটে ছিনতাই পর্যন্ত করে থাকে। উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে সন্ধ্যা নামলেই দল বেধে নেশার জন্য বসে মাদকাসক্তরা। এবং মোবাইলে গেইম জুয়াও খেলে টাকা দিয়ে। প্রতিদিন মাদকের রমরমা ব্যবসা ও সেবন চলছে। থানা পুলিশের নাকের ডগায় এসব ঘটনা দিন দিন ঘটছে উপজেলার মাদক প্রধান রুট লাউকাঠি খেয়াঘাট থেকে উপজেলার অর্ধশত পয়েন্টে বিস্তার লাভকরে। এছাড়াও পাতাবুনিয়া খোয়াঘাট, লেবুখালী ফেরিঘাট, চরগরবদী ফেরিঘাট, মুরাদিয়া ভক্তবাড়ি, দিয়েও বিভিন্ন পয়েন্টে মাদক প্রবেশ করছে।
উপজেলার মাদকের চিহ্নিত স্থানগুলোর মধ্যে দুমকি থানাব্রীজ, সিনেমা হল এছাড়াও পিরতলা বাজারের উত্তর মাথায়, হাসপাতাল, দুমকি মাদরাসা ব্রীজ, জনতা কলেজ, ফারমার্স ব্যাংক, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের রাজাখালী বাসস্ট্যান্ড, জামলা বাজার তালুকদার হাট, গাবতলী বাজার , মুরাদিয়া ইউনিয়নের কলবাড়ি বাজার, নুতন মজুমদার হাট, বোর্ড অফিস বাজার কদমতলা বাজার, আংগারিয়া ইউনিয়নের আবাসন , পাতাবুনিয়া লঞ্চঘাট, নদীর পাড়ে, আংগারিয়া বাজার, পশ্চিম ঝাটরা স্কুল বাড়ির পিছনে, পশ্চিম ঝাটরা পোলের গোরায়, আংগারিয়া হক রাইচ এজেন্সী চাল শুদামের কাছে, মদন বাড়ির পিছনে, কালিবাড়ির পোলের কাছে, মহরাজ বাড়ি, কালভার্ট, পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের কামিল মাদ্রাসা, ধোপার হাট, আলগীর স্কুল, হাজির হাট, মুন্সির বাজার এলাকা সহ বেশ কিছু স্থানে দিন রাত চলছে মাদক সেবন ও ব্যবসা। বিভিন্ন সূত্র জানায়, থানা পুলিশের অসাধু কিছু সদস্যকে ম্যানেজ করে চালাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা নির্ভিঘ্নে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। দুমকি থানার ওসি বলেন, বর্তমানে দুমকিতে মাদকসেবী ও বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।