ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৩৬তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বিদায়ী কমিশনার গোলাম ফারুকের কাছ থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি।
বিদায়ী কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুককে রীতি অনুযায়ী পুলিশ সদস্যরা ফুলের রশি দিয়ে গাড়ি টেনে বিদায় জানান। এ সময় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এর আগে খন্দকার গোলাম ফারুককে বিদায়ী সালাম জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সুসজ্জিত একটি চৌকস দল।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব সিরাজাম মুনিরা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে হাবিবুর রহমানকে ডিএমপির কমিশনার হিসেবে পদায়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
হাবিবুর রহমান ১৯৬৭ সালের ১ জানুযারি গোপালগঞ্জ জেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের আব্দুল আলী মোল্লা এবং মোসাম্মৎ রাবেয়া বেগম দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শিল্প-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। এসএম মডেল হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক শেষ করে গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৭তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর হাবিবুর রহমান আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অভিনব কর্মকৌশল প্রযোগ করেন। তিনি সাধারণ মানুষকে পুলিশের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জনগণের পুলিশ’ হিসেবে চিত্রিত করেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পুলিশ সদর দফতরে সফলভাবে কাজ করার পর ডিআইজি হিসেবে ঢাকা রেঞ্জে যোগদান করেন হাবিবুর রহমান। এ সময় তিনি করোনাকালীন সমাজের নিম্নস্তরের ও পিছিয়ে থাকা মানুষকে সহায়তা, পুলিশ নিয়োগ ও পদায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা, জনগণকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সম্পৃক্ত করা, মনিটরিং সেল স্থাপনসহ বিভিন্ন পর্যায়ে অনকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
দীর্ঘ তিন বছর ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে তিনি অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে টুরিস্ট পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশের চাকরির পাশাপাশি লেখালেখি-গবেষণায়ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান। সফল ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেও তার পরিচিতি আছে।