মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
HomeUncategorizedঢাকা ১৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফর রহমানের টাকার ছাড়াছাড়ি মধ্যরাতে টাকা হস...

ঢাকা ১৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফর রহমানের টাকার ছাড়াছাড়ি মধ্যরাতে টাকা হস আটক

spot_img

ঢাকা-১৪ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে বিজয়ী হতে স্বল্প আয়ের মানুষ, বিএনপি ও বস্তিবাসীর ভোট টাকার বিনিময়ে কেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে কেটলি প্রতীক মোঃ লূৎফর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লূৎফর রহমানের ছেলে ঢাকা-১৪ আসন জুড়ে বিপুল টাকা ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে।

রাজধানীর মিরপুর, শাহআলী, দারুসসালাম, রুপনগরের একাংশ ও সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ঢাকা ১৪ আসন। এই আসনে ডিএনসিসির ৭,৮,৯,১০ ১১ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড পড়েছে।

গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে মিরপুর ৬ নম্বারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজাহার এনামের গাড়ি থেকে টাকাসহ স্থানীয় লোকজন কয়েকজনকে আটক করে, প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায় মাজাহার এনামকে পাবলিক চারপাশ থেকে ঘিরে ফেললে সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন পরবর্তিতে তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

টাকা ছড়ানোর খবর পেয়ে শুক্রবার রাত ১২টার সময় সাংবাদিকরা গাবতলী বাগবাড়ী লূৎফর রহমানের বাড়ীতে গেলে সেখানে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার দেখা মেলে। মিরপুর-১ নম্বরের দেওয়ান বাড়ীর বিএনপি নেতা মমিন দেওয়ান, নবাবেরবাগ এলাকার বিএনপি নেতা ইংরেজ আজম, মিরপুর-১ নম্বর উত্তর বিশিলের বিএনপি নেতা জহির কাজী, উত্তর বিশিল ৪নং রোডের বিএনপি নেতা আজম ও মিরপুর-১ নম্বর ডি-ব্লকের আজাদকে দেখা যায়।
সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী লূৎফর রহমান কেটলী মার্কা পাওয়ার পর থেকে তাহার ছেলে মোঃ ফয়সাল এলাকাতে বিপুল পরিমান টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন বলে জানা যায়। আর রাত হলে লূৎফর রহমানের বাড়ীতে জামায়াত ও বিএনপির সকল নেতা কর্মিদের দেখা যায়।

ফলে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে এ ব্যাপারে তৎপর হতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে ভোটের আগের দিন যেন টাকাপয়সার লেনদেন না হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসন সতর্ক থাকবে।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী লূৎফর রহমান কেটলী মার্কা ১৫০ কোটি টাকা নিয়ে এ নির্বাচনে মাঠে নেমেছে। তিনি যেকোনো মূল্যে ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করতে চায়। তাই জামায়াত ও বিএনপি কর্মীদের যেমন দিচ্ছেন, তেমনি গরিব মানুষেরও ভোট টাকা দিয়ে কিনতে চাইছেন। আইন অনুযায়ী, দ্বাদশ জতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন।

তবে বাহারি প্রচারণা বলে দেয়, বাস্তবতা ভিন্ন। ঢাকা-১৪ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মাকার্র প্রার্থী মাঈনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, গাবতলী, বাগবাড়ী, বড়বাজার, কাউন্দিয়া, মিরপুর-১ নম্বরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় লুৎফর রহমানের ছেলে ফয়সাল কয়েক দিন ধরে ভোটারদের টাকা দিচ্ছেন। এ ছাড়া তিনি কোটি কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে। তারা টাকা দিয়ে গরিব মানুষের সব ভোট কিনে নিতে চাইছে।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ খবর

spot_img
আরও খবর
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here