বিশেষ প্রতিনিধি:
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, “অসমতার বিরদ্ধে লড়াই করি, দূর্যোগ সহনশীল ভবিষৎ গড়ি।” দূর্যোগ ঝুঁকির ফলে জীবন ও সম্পদের ক্ষয় ক্ষতির বিষয়ে সচেতন করতে বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় এবারের আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস আমাদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বয়ে এনেছে।
১৩ অক্টোবর শুক্রবার সকালে উপজেলা কনফারেন্স কক্ষে ইউএনও মোঃ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম শোভনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসলিম, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা আবু বকর, সাংবাদিক লোকমান হোসেন পনির, সাংবাদিক মজিবুর রহমান, বালীগাঁও মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রোকসানা আহমেদ সূচনা, সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার, উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার উজ্জল কুমার শীল প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দূর্যোগের দ্বার ক্রয়ক্ষতি ও সম্ভাব্য নেতিবাচক ফলাফল কমিয়ে আনতে আামাদের আগাম সতর্কবার্তা অনুযায়ী দূর্যোগে প্রস্তুতি নিতে হবে। মূলত দুর্যোগ প্রশমন বলতে দুর্যোগ দমন বা নিবারণ করাকে বোঝায়। সাধারণত ভূমিকম্প, বন্যা, জলোচ্ছাস, সুনামি, অতিবৃষ্টি, খরা, ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিমন্ডলে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। বিভিন্ন দুর্যোগের বিষয়ে মানুষ সচেতন হলে এর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কম হয়। তাই এ বিষয়ে সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে একটি র্যালী উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।