বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি এখন নির্বাচন নিয়ে কথা বলে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে তারা নানা কথা বলে। আমি এখন সমালোচনা করতে চাই না। এদের কথা-কাজ সবই ধ্বংসাত্মক। এ ব্যাপারে দেশবাসীকে আমি সতর্ক করব। আজকের উন্নয়ন ধ্বংস করুক, সেটা আমরা চাই না। আজকে আমাদের লক্ষ্য দেশকে আরও উন্নত করা।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবনে আয়োজিত সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের আওতায় নির্মিত ১৫০টি সেতু ও বিভিন্ন মহাসড়কের ১৪টি ওভারপাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তারা প্রতিদিন আন্দোলন করছে। তারা নাকি আমাদেরকে হটিয়ে দেবে। ঠিক আছে তারা আন্দোলন করতে থাকুক। আমার তো জনগণ আছে। জনগণের কল্যাণ করাই আমার লক্ষ্য।’
সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি-জামাতের যে অগ্নিসন্ত্রাস, সে অগ্নিসন্ত্রাসের সময় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যারা মারা গিয়েছিল, যাদের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, বাস-ট্রাক, ভ্যান-রিকশা আমরা কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেককে, প্রায় তিন হাজার ৮০০ জনকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলাম। আর যারা অগ্নিদগ্ধ তাদের এখনো যার যা চিকিৎসা প্রয়োজন হচ্ছে আমরা সেই সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষের জীবনে যেন এই ধরনের অগ্নিসন্ত্রাস বা এই ধরনের ঘটনা যেন আর না আসে।
বিএনপির আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এখন তারা আন্দোলন করছে বিএনপি-জামায়াত ঠিক আছে, কিন্তু যদি এখনো দেখি বাসে আগুন দিতে, গাড়িতে আগুন দিতে, আমি বলে দিয়েছি- এই আগুন যারা দিতে যাবে এবং এখানে এখন সিসি ক্যামেরা ও পুলিশরা যারা নিরাপত্তায় থাকবে বা গোয়েন্দা সংস্থা সকলকে বলছি- সকলের ক্যামেরা অন থাকবে। যদি কেউ এরকম করতে চায় সঙ্গে সঙ্গে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তাই নেবেন। যেন মানুষের ক্ষতি করতে না পারে, আবার অগ্নিসন্ত্রাসে যেতে না পারে। আন্দোলন করুক আমার আপত্তি নেই।
’৭৫-৯৬ পর্যন্ত সময়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় জীবন থেকে ২১ বছর চলে গেছে। এই ২১ বছরে দেশের মানুষ উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে। তারপর ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন করি।