নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাগর পাড়ের জনপদ কলাপাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা এবং রাঙ্গাবালী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত পটুয়াখালী-৪ সংসদীয় আস। আওয়ামী লীগের দুর্গখ্যাত এই আসনে সুষ্ঠ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কখনো পরাজিত হয়নি। আওয়ামী লীগ বরাবরের মতো আসনটি তাদের দখলে রাখতে চায়, তেমনি বিএনপি তথা তাদের মিত্ররা চায় আসনটি নিজেদের কব্জা করতে। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও এই আসনে এখন ভোটের রাজনীতিতে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
- বরিশাল বিভাগের মধ্যে এই আসনের জনপদে সরকারের রয়েছে এক যুগের টানা বিস্ময়কর উন্নয়ন কর্মকান্ড। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিনবারের ক্ষমতার কারণে কলাপাড়ায় সরকারের একাধিক মেগাপ্রকল্প চলমান রয়েছে। এক কথায় দেশের উন্নয়ন বলতে গেলে কলাপাড়া উপজেলাকে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। সরকার প্রধান শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের কারণে এখানকার মানুষ পাঁচ হাজার টাকা শতকের কৃষি জমি এখন তিন লাখ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সমগ্র কলাপাড়ার বেলাভূমিও পরিণত হয়েছে সোনার খনিতে। দেশের তৃতীয় ‘পায়রা সমুদ্র বন্দর’ নির্মাণ। পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ। ১৩২০ মেগাওয়াট আরপিসিএল এনপিএল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকাজও শেষের পথে।
চলমান রয়েছে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণকাজ। নির্মাণ করা হয়েছে শের-ই-বাংলা নৌ-ঘাঁটি। কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নে শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন কর্ম সহ কলাপাড়া উপজেলায় এখনো চলমান রয়েছে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ।
সড়কপথে এ জনপদে এখন ফেরিবিহীন যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার সুবাদে এখন মানুষ কুয়াকাটায় ঢাকা থেকে ছুটে আসছে মাত্র ৫ ঘণ্টায়। এ কারণে শতাধিক পরিবহন বাস চালু হয়েছে, যেন যুগান্তকারী উন্নয়নের জনপদে পরিণত হয়েছে কলাপাড়া-কুয়াকাটা। এ ছাড়া দুর্গম চরাঞ্চল রাঙ্গাবালী উপজেলায় ২০০৮ সালের আগে পাকা সড়ক তো দূরের কথা ছিল না কোনো ইটের সড়ক। আর এখন সেখানে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। মাইলের পর মাইল সড়ক পাকা হয়েছে। সবচেয়ে যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল সাগরনদী ঘেরা এ বিচ্ছিন্ন জনপদে নদীর মধ্য দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া। ওখানকার মানুষ যা স্বপ্নেও ভাবেননি, তা-ই করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, যেন বদলে দেওয়া এক জনপদে পরিণত হয়েছে পটুয়াখালী-৪ আসনের কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা। তারপরও আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আসনটিতে আওয়ামী লীগের ঝুঁকি যেন বাড়ছ। শুধুমাত্র সরকারের দেওয়া বিভিন্ন ধরনের সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরিতে ইউনিয়ন পর্যায়ের কিছু জনপ্রতিনিধির দুর্নীতি আর অনিয়মের কারণে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
আর এর খেসারত দিতে হয়েছে পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ ও কুয়াকাটা পৌরসভার নির্বাচনে পরাজয়ের মধ্য দিয়। কলাপাড়ায় ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে ঘিরে সহিংসতায় মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এক নেতা খুন হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এজন্যই এখানকার সাধারন মানুষ নতুন নেতৃত্বকে গুরুত্ব দিচ্ছে।কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৮৮ হাজার ৩৪১ জন। এর মধ্যে কলাপাড়ায় এক লাখ ৯৯ হাজার ৪৫৫ জন। আর রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৮৮ হাজার ৮৮৬ জন। মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৪৬ হাজার ২৬৭ জন এবং মহিলা এক লাখ ৪২ হাজার ৭৪ জন।
এ দিকে সারা দেশ যখন নির্বাচনের জোয়ারে ভাসছে তখন পটুয়াখালী ৪ আসনের সাধারণ জনগনও তাদের খুজছেন যোগ্য নেতৃত্ব কে । পটুয়াখালী ৪ আসনের কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালি এলাকার সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের মনের কথা তারা কেমন নেতা চান সেটা এভাবেই ব্যাক্ত করেন মেয়রের ছেলে এম পি হয়ে আসলে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবেন। এমনটি আসা করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। এছাড়া যুব সমাজের মধ্যে একটা আনন্দের উৎসব দেখা দিয়েছে। স্থানীয় যুব সমাজ মনে করেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিকাশ চন্দ্র হাওলাদারের মতো যুব নেতার বিকল্প নেই।
বর্তমান এমপি ”মহিববুর রহমান” বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেন–
‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এই আসনের উন্নয়ন নিয়ে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। আমি যার জোগান দিচ্ছ। অতিসম্প্রতি পায়রা সমুদ্র বন্দরের ফার্স্ট টার্মিনাল নির্মাণকাজসহ কয়েকটি উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কাজসহ বিভিন্ন কাজের উদ্বোধন করেন, যেখানে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। পায়রা সমুদ্র বন্দর, ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু, একাধিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। বিচ্ছিন্ন দ্বীপাঞ্চল রাঙ্গাবালীতে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ সব যুগান্তকারী উন্নয়ন।তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী জনপদের সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ দমন, ভূমিদস্যুতা, সালিশি বাণিজ্য বন্ধ করেছি। নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তার দাবি, মনোনয়ন দৌড়ে তিনি এগিয়ে আছে। ফের নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করবেন বলে তিনি শতভাগ নিশ্চিত বলে মনে করেন। এক সময়ের অনগ্রসর এই জনপদে শিক্ষার উন্নয়নে সংসদ সদস্য মহিববুর রহমান ও তার পরিবার কলেজ-স্কুলসহ অনেক প্রতিষ্ঠান করেছেন। এ ছাড়া গত চার বছরে শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন, করেছেন মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা।
অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদারও নিজের মতো করে গণসংযোগ করছেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করছেন। ২০০১ সাল থেকে টানা তিনবারের এই নির্বাচিত এমপি বলেন, পটুয়াখালী-৪ আসনের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনামতে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এই আসনে নতুন ইউনিয়ন সৃষ্টি, মহিপুরকে পুলিশি থানায়, কুয়াকাটাকে পৌরসভায় উন্নীত, কলাপাড়া কুয়াকাটা মহাসড়কে তিন সেতু এবং বালিয়াতলীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নির্মাণ তারই প্রচেষ্টা, যা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনামতে বাস্তবায়ন করেছেন। আর পায়রা সমুদ্র বন্দর, ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রসহ এ সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শের-ই-বাংলা নৌ-ঘাঁটিসহ সকল উন্নয়ন তার হাত ধরেই এগিয়ে গেছে। তিনি ফের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি এই আসনটি উপহার দিতে পারবেন বলে দৃঢ়তা ব্যক্ত করেন। শিক্ষার উন্নয়নেও কলাপাড়া-রাঙ্গাবালীতে ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ একাধিক কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে জানান।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ কলাপাড়া-রাঙ্গাবালীতে নিয়মিত গণসংযোগ করছেন এবং মনোনয়ন প্রত্যাশী।
আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী ৪ আসনের সকলকে ছাড়িয়ে যেন জন প্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে-
সাবেক ছাত্র নেতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সদস্য এবং কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সদস্য বংলাদেশ আওামী যুবলীগ বিকাশ চন্দ্র হাওলাদার । তিনি সুযোগ পেলেই ছুটে আসেন তার নিজ এলাকায় সাধারন মানুষের কাছে । স্বচ্চ ক্লিন ই-মেজের এই যুবনেতা এ বছর মনোনয়ন দৌড়ে জোরেশোরে অংশ নেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন । স্থানীয় সাধারণ ভোটারদের কাছেও তার ক্রমেই ইমেজ বেড়েই চলেছে। এলাকার যুব সমাজের কাছে তার জনপ্রিয়তা আকাশ চুম্মি। স্থানীয় যুব সমাজ মনে করেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিকাশ চন্দ্র হাওলাদারের মতো যুব নেতার বিকল্প নেই। এই মূহুর্তে তাকে যুবসমাজের নতুন ক্লিন ইমেজর দক্ষ নেতা দাবি করছেন পটুয়াখালী ৪ আসনের সাধারন জনগন । তিনি আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের অন্যতম দাবিদার। তার দাবি, মনোনয়ন পেলে নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি জয় নিশ্চিত করতে পারবেন। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই আসনের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চান। তিনি প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত উন্নয়ন কর্মকান্ডকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শত ভাগ সচেষ্ট রয়েছেন বলে জানান ।
এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের আরও মনোনয়ন প্রত্যাশির তালিকায় রয়েছেন-
সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. হাবিবুর রহমান- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ সৈয়দ নাসির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ ড. শহীদুল ইসলাম বিশ্বাস, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আনোয়ার-উল-ইসলামের পূত্র কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক আব্দুল্লাহ-আল-ইসলাম লিটন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ সভাপতি মুরছালিন আহম্মেদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, সাবেক ছাত্র নেতা মাহমুদুল আলম টিটু, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এম নয়া মিয়া নয়ন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মোঃ ছাবের আহম্মেদ ।
কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার জানান- দলটিতে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে। তবে মনোনয়ন পেলে সবাই একযোগে কাজ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। অনেক নেতাকর্মী এই আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচন করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তাহলে সকল বিরোধ ভুলে দলের জন্য সবাই একযোগে কাজ করবেন।এদিকে, বিএনপি তথা চারদলীয় জোটে এই আসনে আপাতদৃষ্টিতে দলীয় নেতাকর্মীরা বর্তমানে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। ইতিপূর্বে তারা ভিন্ন ভিন্ন অফিসে বসলেও সম্প্রতি উপজেলা কমিটি গঠন হওয়ার আগে নেতাকর্মীরা দ্বিধাবিভক্তি ভুলে মূল অফিসে বসছেন। দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছেন। সম্প্রতি ঘটা করে সব কয়টি ইউনিয়নে বিএনপি ও সহযোগী ও অঙ্গ-সংগঠনের কমিটি গঠন করা হয়েছে। দলটিতে বলতে গেলে আগামী সংসদ নির্বাচনে একক প্রার্থী রয়েছে। তিনি হচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন। তবে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।
বিএনপি চাইছে যে কোনো মূল্যে আগামী সংসদ নির্বাচনে তারা এই আসনটি দখলে নিতে। যদিও এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন না করার দলীয় সিদ্ধান্ত জানানো হয়। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীরা নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যে এখানকার দুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না থাকলেও কৌশলে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজি হুমায়ুন সিকদার দাবি করেন, বিএনপি কলাপাড়ায় এখন যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী এবং সংগঠিত। এবিএম মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে তারা ঐক্যবদ্ধ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে কলাপাড়া উপজেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান প্রার্থী হতে পারে। তবে আগামী সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে কে প্রার্থী হবেন- এই আসনে তা নিশ্চিত করতে পারেননি কেউ।