আপন দুইবোন মনি ও মুক্তার মাদক কারবারে অতিষ্ঠ মতিঝিল দিলকুশা এলাকার বাসিন্দারা। মাদক বাণিজ্যের মাধ্যমে তারা এলাকার যুব সমাজের নৈতিক চরিত্রের অবক্ষয় ঘটানোর পাশাপাশি অফিসপাড়াখ্যাত এই এলাকার পরিবেশ দূষিত করে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা ও অফিসপাড়ায় কর্মরতরা জানান ইয়াবা, হেরোইন, প্যাথেড্রিন,ফেন্সিডিল, আইস ও গাঁজাসহ সব ধরনের মাদকদ্রব্যের ব্যবসার সাথে মনি ও মুক্তা নামের এই দুই সহোদর জড়িত।
মাদক কারবারের মধ্য দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে এই দুই বোন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেলেও তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর মাদকের টাকা যোগাড় করতে গিয়ে এলাকার যুবকরা এখন চুরি ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। নেশায় জড়িত হয়ে এলাকার উঠতি বয়সীরা কিশোর গ্যাংসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, মাদকসম্রাজ্ঞী হিসেবেখ্যাত এই দুই বোনের সাথে প্রশাসনের দহরম মহরম সম্পর্ক থাকার কারণে তারা মনি ও মুক্তার মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করারও সাহস পায়না। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তারা বলে প্রশাসনকে আমরা নিয়মিত মাসোহারা দেই, থানা পুলিশ আমরা পকেটে নিয়ে ঘুরি । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার ক্ষুব্ধ কয়েকজন জানান, থানাকে ম্যানেজ করেই এই দুই মাদক সম্রাজ্ঞী নির্বিঘ্নে নিজেদের মাদকের কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে এই দুই বোন মাদকবাণিজ্য চালিয়ে গেলেও প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে এলাকার বাসিন্দারা প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তুলছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মতিঝিল জোনের ডিসিকে কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। থানায় নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে মনি ও মুক্তা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন এলাকাবাসীর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, থানাকে নিয়মিত মাসোহারা দেওয়া হয় এই অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যেহেতু আমরা অভিযোগ পেয়েছি খুব শিগ্রই এই স্পটটি বন্ধ করে দিয়ে দুই বোনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।