শুক্রবার বিকেল ৫ ঘটিকায় ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি প্রাননাশের হুমকির অভিযোগ এনে মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের অডিটোরিয়াম রুমে সংবাদ সম্মেলন করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন তমাল।
রাজধানীর মিরপুর দারুসসালাম থানাধীন এলাকায়
ইলেকট্রনিক শোরুমের মালিক মোহাম্মদ আরিফ হোসেন তমালের কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দবির অভিযোগ। ঘটনা সূত্রে জানা যায় গত ১০ তারিখ সোমবার আনুমানিক বিকেল তিনটার দিকে ১৫/২০টি বাইক যোগে কিশোর গ্যাংয়ের ২৫/৩০ জন সদস্য, এসে আরিফ হোসেন তমালের এক্সিলেন্ট ইলেকট্রনিক শোরুমে আগুন ধরিয়ে দেওয়া ও ভাংচুর করা আওয়ামী লীগকে টাকা দিতি এখন আমাদেরকে দিতে হবে না দিলে ৫ই আগস্টের ছাত্র জনতা হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলা করা হবে বলে হুমকি দেন উপস্থিত শোরুমের কর্মচারীদের সামনে, এসময় শোরুমের ম্যানেজারকেও প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেন কিশোর গ্যাং সদস্যরা।
বিষয় টি আরিফ হোসেন কে ফোন করে অবগত করেন শোরুমের কর্মচারীগন সাথে সাথে আরিফ হোসেন শোরুমে আসেন এবং শোরুমের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে কিশোর গ্যাংয়ের কয়েকজন সদস্যকে চিনতে পারেন। এবিষয়ে দারুসসালাম থানাধীন ১০ নং কমিউনিটি সেনাবাহীনি ক্যাম্পে ও মিরপুর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি হুবহু তুলে ধরা হইলো, মোঃ আরিফ হোসেন (৪৮) পিতা- মৃত: আব্দুর রশিদ, মাতা- মোসাঃ গুলেনুর রশিদ, সাং- ২-এ/বি, ২য় কলোনী, মাজার রোড, থানা- দারুস সালাম, ঢাকা আপনার ক্যাম্পে হাজির হইয়া এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আমি দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ সুনামের সহিত মোবাইল ফোনের ব্যবসা করিয়া আসিতেছি। আমি আমার স্থায়ী ঠিকানায় গত ২২ বছর যাবৎ বসবাস করিনা।
আমি কোন রাজনৈতিক দলের সহিত জড়িত নয়। গত ০২ বছর পূর্বে দারুস সালাম থানাধীন ২/এ/বি ঠিকানার বাড়ীটি আমি ক্রয়সূত্রে মালিক হই। আমি মালিক হওয়ার পর উক্ত প্লটটিতে ৪ তলা ভবন নির্মান করিয়া ২য় তলা যমুনা ব্যাংকের নিকট ভাড়া প্রদান করি এবং ৩য় ও ৪র্থ তলা নিয়ে বসবাস করার জন্য তৈরী করিতেছি। ভবনটির নিচ তলায় আমি এক্সিলেন্ট ইলেক্ট্রনিক্স নামক শোরুম স্থাপন করিয়া সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। আমার উক্ত দোকানে ৩/৪ জান কর্মচারী রহিয়াছে। আমার দোকান সহ রাস্তার নিরাপত্তার স্বার্থে একাধিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা রহিয়াছে। অন্যান্য দিনের মত গত ইং ১০/১১/২০২৪ তারিখ সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় আমার কর্মচারীগন দোকান খোলে।
বেলা ৩.৪৫ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জন যুবক ১৫/২০টি মোটর সাইকেল যোগে আমার উক্ত দোকানে আসিয়া আমার কর্মচারীদের নিকট আমার অবস্থান সংক্রান্তে জানিতে চায়। আমাকে দোকানে না পাইয়া আমাকে উদ্দেশ্য করিয়া অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ, প্রান নাশের হুমকি সহ আমার দোকানে থাকা প্রায় ৩,০০,০০,০০০/- (তিন কোটি) টাকার মূল্যবান সামগ্রীতে আগুন লাগাইয়া দেওয়ার কথা বলে। আমার কর্মচারীদের অনুরোধে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিগন দোকানে আগুন না দিলেও তাহারা আমার কর্মচারীর নিকট ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে। তাহাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে পরবর্তী যে কোন সময় আমার জান মালের ক্ষতি সহ দোকানের ক্ষতি করিবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে।
পরবর্তীতে আমি সংবাদ পাইয়া বিকাল ৪.১৫ ঘটিকার সময় দোকানে পৌঁছাই এবং আমার দোকানে থাকা সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করিয়া কয়েকজনের নাম পরিচয় সংগ্রহ করিতে পারি। যাহাদের মধ্যে ১। সৈকত বাবু (৩৮), পিতা- আব্দুল হালিম, মাতা- মোসাঃ আয়শা খাতুন, সাং- ৪/এ/বি, ২য় কলোনী, মাজার রোড, থানা- দারুস সালাম, ঢাকা; ২। আরাব (২২), পিতা- রায়হান, এ/পি- আমার ভবনের পাশের বাড়ী: ৩। পলাশ (২৫), পিতা ও সাং- অজ্ঞাত; ৪। সাকিব (২৫), পিতা ও সাং- অজ্ঞাত; ৫। বাবু (২৭) পিতা ও সাং- অজ্ঞাত; ৬। সাইফুল (৪৫) (সাইফুল মটরস), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- ২/এ/এ, ২০ কলোনী, থানা- দারুস সালাম, ঢাকাদের শনাক্ত করি ।