ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ১৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের কমিটিতে ওমর ফারুক মুন্নাকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চান সর্বস্তরেরর জনগণ
ওমর ফারুক মুন্না ছাত্রজীবন থেকেই তিনি জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।
দীর্ঘ বছর যাবৎ তিনি গরিব দুঃখী ও মেহনতি মানুষের দুঃসময়ে পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি রাষ্ট্রনায়ক তারেক জিয়ার একজন সৈনিক হিসেবে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। দলের দুঃসময় পাশে থেকে নজর কেড়েছে অনেক সিনিয়র নেতা কর্মীদের। নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন রাজনীতিতে। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ব্যবসা বাণিজ্য ও সামাজিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
ওমর ফারুক মুন্না সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন আদর্শ কর্মী হিসেবে আমি জননেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক জিয়ার একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি স্বৈরাচার সরকার আওয়ামী লীগের ১৬ টি বছর হামলা মামলা শিকার হয়েছি। আমি এই যুবদলের রাজনীতি করে আমার জীবনে অনেক লাঞ্ছিত হয়েছি। সেটা আসলে আপনাদেরকে বোঝাতে হলে আমার অনেক কষ্ট হবে চোখের পানি চলে আসবে। আমি ১৬ বছরের একটি রাত শান্তিতে ঘুমাতে পারিনি ,এই স্বৈরাচার সরকার আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। ঠিকমতো পরিবারের সাথেও সময় কাটাতে পারিনি। দলের সিনিয়ার নেতাকর্মী আমার বিষয়ে অবগত আছে। আমার ঢাকা শহরে ব্যবসা ছিল এই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার আমাকে ব্যবসা করতে দেয় নাই। ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে আমার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর্থিকভাবে নিঃস্ব করে দিতে চায়েছে আমার পরিবারকে।
তিনি আরো বলেন, সারা বাংলাদেশে এমার মতো অনেক নেতাকর্মী জুলুম নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করি যে ১৬ টি বছর পরে আমাদের কথা মনে হয় শুনেছেন। চলতি বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের এই বাংলার মাটিতে ছাত্র জনতা পতন ঘটিয়েছে। এই দিনটি ছিল আমাদের জন্য আনন্দের। কারণ ১৬ বছরের যা কষ্ট করেছি তা ৫ আগস্টে পূরণ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দলের একজন সৈনিক হিসেবে দেশ ও জাতিকে বলতে চাই যে আগামীর প্রজন্ম আপনাদের ১৬ বছরের যে মূল্যবান ভোট দিতে পারেননি সে অধিকার আমরা ফিরিয়ে দিতে চাই।দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ করে দেবেন এটাই আমি আশা করছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাসহ দেশবাসীর কাছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করবেন তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে একটি কথা বলেন আপনারা হচ্ছেন দেশের আয়না। আপনারা ভালো দিকটা তুলে ধরবেন কারণ এই দেশটা ১৬ টি বছর স্বৈরাচারের কাছে ছিল। এখন স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে আপনারা আপনাদের অধিকার ফিরে এসেছে।
আপনারা সত্যটা তুলে ধরবেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি আপনাদের সন্তান আমি ১৬ টি বছর নির্যাতনের শিকার মামলার শিকার । আমি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি হিসাবে আপনারা আমাকে সমার্থ দিবেন। আমি আপনাদের পাশে আছি যতদিন বেঁচে থাকি পাশে থাকবো। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি আপনাদেরকে একটি কথা বলি এই নতুন বাংলাদেশে কোন স্বৈরাচারের থাকতে পারবেনা। আপনার এলাকায় কোন ঘোষ দুর্নীতি বাণিজ্য হলে আমাদেরকে জানাবেন আমরা আপনাদের পাশে আছি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও যুবদল পাশে আছে।