শিল্প এলাকা নারায়নগঞ্জের এ অঞ্চলে, সরকার পতনের পর অনেকাংশে কমে এসেছিলো চাঁদাবাজি ও অস্থিরতা। দলের নাম ও প্রভাব খাঁটিয়ে ঝুট বা ওয়েস্টেজ ব্যবসার দখল নিতে পূর্বের ন্যায় সংঘবদ্ধ চক্রের দৌরাত্ম্যে অসহায় ব্যবসায়ীরা।
বিগত বছরগুলোতে আওয়ামিলীগ ও তার দোসরদের ব্যবসায় একছত্র অধিপত্যে এতোদিন কেউই মুখ খুলেনি। স্থানীয় এস আর নিট ডায়িং মালিক হান্নান বলেন বিভিন্ন গ্রুপে প্রায়শই মাল নিতে প্রতিষ্ঠানের সামনে হট্টগোলের কারনে আমরা ভয়ে থাকি। আমরা চাই ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ।
৫ নম্বর ওয়ার্ড কোতোয়ালেরবাগের ঢাকা টেক্সটাইল গার্মেন্টসে ঝুটের মাল নিতে গত ১৯ তারিখ শনিবার ও পরদিন রবিবার একই এলাকার মেট্রো গার্মেন্টসে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে স্থানীয় সৈকত, বাদল, মিঠু, হারুন, আরিফ ও মামুনসহ কিশোরগ্যাং সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্য মহড়া দেয়। একাধিক মামলার আসামী এ সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করলেও দৃশ্যমান দৃষ্টান্ত না থাকায় জনমনে ক্ষোভ দেখা গেছে।
এলাকার যুবসমাজ ও পঞ্চায়েত কমিটির একাধিক ব্যাক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করণ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে নানামুখী উদ্যোগের পরেও নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়াচ্ছে কেউ।
নারায়নগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত -০২ এর একটি পিটিশন মামলা গত ২১/১০/২০২৪ তারিখে জনৈক বিবাদী মো. শান্ত, পিতা – জামান মোল্লার দায়েরকৃত অভিযোগসুত্রে জানা যায় শস্তাপুর রসুল ডাইং নামক গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা করে আসলে গত ১৯/১০/২০২৪ তারিখে কিশোরগ্যাংয়ের লিডার সৈকত, সাদ্দাম সাজু, জাকির, মিটু, পলাসসহ অজ্ঞাত ২৫/৩০ জন তাদের মালামালের গাড়ি গতিরোধ করে ৮০ হাজার টাকা সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও মালামাল কেড়ে নিয়ে বেধরক মারধর করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। ভয়ভীতি ও হুমকিতে দিশেহারা শান্তর পরিবারের সদস্যদের মামলা তুলে নিতেও চলছে নানা ধরনের হুমকি
এলাকাবাসীর দাবী এখনই ব্যাবস্থা না নিলে ঘটতে পারে বড়ো কোন দূর্ঘটনা।