রাজধানীর মিরপুর রুপনগর থানাধীন বেরিবাধ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনেই তুরাগ নদীর পাড়ে সরকারি জমি দখল করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে সিসা তৈরির কারখানা।
ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরি করায় দূষিত হচ্ছে চারপাশের পরিবেশ। এই সিসার প্রভাবে সরকারি রাস্তার গাছ মরে গিয়েছে আরো আশপাশের অনেক গাছের পাতা গুলো কালো হয়ে গিয়েছে। এই সিসা তৈরীর কারখানার বজ্রতে হুমকিতে রয়েছে জনস্বাস্থ্য।
গত কয়এক মাস আগে সিসা তৈরির এই কারখানাটি স্থাপন করা হয়। প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে এটি স্থাপন করেন মনিরুল গং। বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরোনো ব্যাটারি কিনে এখানে এনে, ভেঙে প্লাস্টিক আলাদা করে সিসা সংগ্রহ করা হয়। রাত ১১টার দিকে ছাই পুড়িয়ে সিসা তৈরি করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় কারখানার ভেতরে পুরোনো ব্যাটারি, ভেঙে ফেলা ব্যাটারির স্তুপ কারখানার উঠানে গর্ত করে মাটির চুলার মতো চুল্লি বানানো হয়েছে।
এলাকার স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এই কারখানার জন্য কৃষি ও গোচারণভূমি, জলাশয়ের পানি ও মানুষের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। কোনো বর্জ্য শোধানাগার (ইটিপি) ছাড়া উন্মুক্তস্থানে ব্যাটারি গলানোর ফলে সিসাসহ দূষিত অন্যান্য বর্জ্য ছড়িয়ে আশপাশের ঘাস ও পানিতে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
তবে কারখানার দায়িত্বে থাকা শ্রমিকরা বলেন পুরনো ব্যাটারি ভেঙে পাওয়া প্লাস্টিক ও সিসা আলাদা করে রাখা হয়। পরে রাতে ব্যাটারির ছাই আগুনে পুড়িয়ে সিসা তৈরি করা হয়।
আরও বলেন, ব্যাটারি ভেঙে সিসা সংগ্রহ ও পুড়িয়ে সিসা তৈরির জন্য পরিবেশের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।
পরিবেশের এক কর্মকর্তা বলেন, সিসা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বাতাস ও পানির সঙ্গে মিশলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। কারণ এটি বাতাসে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।