আলমগীর হোসেন শুভঃ প্রতিনিধিঃ-
বরগুনা সদর উপজেলার লেমুয়া খাজুরা পি,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউসুফ আলীর অনিয়ম-দুর্নীতি এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রতিবাদে রবিবার বেলা ১২ ঘটিকায় বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন সোহেল পঞ্চায়েত।
লিখিত বক্তব্যে লেমুয়া খাজুরা পি,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন সোহেল পঞ্চায়েত জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউসুফ আলী তার বিরুদ্ধে শিক্ষককে মারধর, বিদ্যালয়ের গাছ কাটা, টাকা লুটের যে অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন। তিনি এ অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সভাপতি সহ ম্যানেজিং কমিটির কারো কোনো সম্পৃক্ততা নেই। প্রধান শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বাধ্য করিয়েছেন। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে গত আগস্ট মাসে যে গাছ কাঁটার মা’মলা হয়েছে তা থেকে বিজ্ঞ আদালত নভেম্বর মাসে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সকলকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউসুফ আলী এই বিদ্যালয়ে ২০১৪ সালের জুন মাসে যোগদান করার পর থেকেই বিভিন্ন মা’মলা-মোকদ্দমা জড়িয়ে যান এবং বিদ্যালয়ের অর্থ অবৈধভাবে আত্মসাৎ করেন। সভাপতি হিসেবে আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরে তার অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তিনি আমার উপর অসন্তুষ্ট ও ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মান-সম্মান ও সামাজিক অবস্থানকে নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন। গত আগস্ট মাসের ম্যানেজিং কমিটির সভায় বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক বিধিমত তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং বিদ্যালয়ের টাকা ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য ২০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে বরগুনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার নং সি’আর ১০৫৩/২৩ (বর)। বর্তমানে এই মা’মলাটি পিবিআইতে তদন্তনাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউসুফ আলী এনটিআরসিএ কর্তৃক দ্বিতীয় মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ সহকারী শিক্ষক (বাংলা) মোঃ ইসমাইল হোসেনকে বিদ্যালয় যোগদান করতে না দিলে তৎকালীন এডিসি মহোদয়ের নির্দেশক্রমে নিয়োগ দিতে বাধ্য হন এবং ইসমাইল হোসেনের নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা ভোগ করেন। তিনি ২০১৫ সাল থেকেই দুর্নীতির সাথে জড়িত। তিনি লেমুয়া খাজুরা পি,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
এবং বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের সাথে সবসময় দুর্ব্যবহার করেন বিধায় বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র-ছাত্রী অন্যত্র গিয়ে লেখাপড়া করছেন।