ভারতের মডেল দিব্যা পাহুজার হত্যাকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ সিসিটিভ ফুটেজ উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ। তিনি যে আবাসিক হোটেলের উঠেছিলেন, সেখানকার সিসিটিভি ক্যামেরায় খুনের আগে ও পরের ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিব্যাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহ করা হচ্ছে গুরুগ্রাম হোটেলের মালিক অভিজিৎ সিংকে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গতকাল সকালে অভিজিতের সঙ্গে রিসিপশনে দাঁড়িয়ে আছেন দিব্যা। এর ২০ ঘণ্টারও কম সময় পর আরেকটি ফুটেজে দেখা যায়, দিব্যার মরদেহ করিডোর দিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন দুজন।
পুলিশ জানায়, দিব্যার মরদেহ অভিজিতের বিএমডব্লিউ গাড়িতে তোলা হয়। এরপর পাঞ্জাবের দিকে নিয়ে গিয়ে কোথাও ফেলে দেওয়া হয়। এখনো সেই মরদেহ খুঁজছে পুলিশ।
সাবেক বয়ফ্রেন্ড গুরুগ্রামের গ্যাংস্টার সন্দ্বীপ গাদোলির মিথ্যা এনকাউন্টারে ভূমিকা রাখায় ২৭ বছর বয়সী দিব্যা সাত বছর জেলে ছিলেন। গত বছর জুনে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
হোটেল সিটি পয়েন্টের রিসিপশনের ওই ফুটেজে দেখা যায়, গতকাল ভোট ৪টা ১৮ মিনিটে অভিজিৎ, দিব্যা ও আরেকজন ব্যক্তি ছিলেন। কয়েক মিনিট পর দিব্যা ও অভিজিৎ হোটেলের ভেতরে ঢোকেন। আর পেছনের ব্যক্তি রিসিপশনিস্টকে কিছু বলছিলেন।
পরের ভিডিওটি রাত পৌনে ১১টার। সেখানে দেখা যায়, দুজন ব্যক্তি দিব্যার মরদেহ একটি কম্বলে জড়িয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একটু পর সেই ব্যক্তিদের ফিরে আসতে দেখা যায়। পুলিশ জানায়, মরদেহটি নীল রঙের একটি বিএমডব্লিউয়ে তোলা হয়, যার মালিক অভিজিৎ।
কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, সিংয়ের কিছু আপত্তিকর ভিডিও দিব্যার কাছে ছিল। সেগুলো ডিলিট করা নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। সাবেক মডেল দিব্যা ভিডিওগুলো দিয়ে অভিজিতকে ব্ল্যাকমেইল করছিল বলে ধারণা করা হয়। একপর্যায়ে অভিজিতের দুই সহযোগী দিব্যাকে গুলি করেন।
ওই দুই সহযোগীর নাম ওমপ্রকাশ ও হেমরাজ। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও দুই-তিনজনকে খুঁজছে পুলিশ। দিব্যার মরদেহ গুম করার জন্য অভিজিৎ তাদের ১০ লাখ রুপি দিয়েছিল ধারণা করা হচ্ছে।