স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার জন্য মাত্র ১৩ বছর বয়সেই আর্জেন্টিনা ছাড়েন মেসি। প্রায় দুই দশকে ক্লাবটিকে হয়ে অসংখ্য সাফল্য এনে দেওয়ার পর ২০২১ সালে বার্সেলোনাকে বিদায় জানান লিওনেল মেসি। আর্থিক দুরবস্থার কারণে আর্জেন্টাইন মহাতারকার সঙ্গে নতুন চুক্তি পারেনি কালাতান দলটি। তাই বাধ্য হয়েই মেসিকে খুঁজে নিতে হয়েছিল নতুন ঠিকানা। ২০২১ থেকে ২০২৩ দুটি মৌসুম পিএসজির হয়ে খেলেছেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।
পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর আবার বার্সায় ফেরার গুঞ্জন ছিল। তবে মেসি যোগ দেন যুক্তরাস্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। যুক্তরাষ্টের এই ক্লাবে বেশ সুখেই আছেন লিওনেল মেসি। শহরটির লোকজন কিংবা শহর, সবকিছুই উপভোগ করছেন এই আর্জেন্টাইন। তবে বার্সেলোনা ছেড়ে ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে গিয়ে বিপরীত অভিজ্ঞতাই পেয়েছিলেন মেসি।
ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেয়ার পর প্রথমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মেসি। ফোর্ট লডারডেলে সংবাদ সম্মেলনে অনেকের অনেক কৌতূহল মেটান তিনি। সেই সংবাদ সম্মেলনে পিএসজিতে কাটানো কঠিন সময়গুলোর কথা জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ছিল না সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলারের। মায়ামির স্থানীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মেসি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, আমি প্যারিসে যেতে চাইনি। এমন কিছু ছিল না যে আমি আমি বার্সা ছেড়ে যেতে চেয়েছি। আমাকে এমন একটি জায়গায় (পিএসজি) অভ্যস্ত হতে হয়েছিল যা শহর এবং খেলাধুলার দিক থেকে আমি যেখানে বেড়ে উঠেছি (বার্সেলোনা) তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটা কঠিন ছিল কিন্তু আমার সঙ্গে এখন যা ঘটছে সেটি সম্পূর্ণ বিপরীত।’
তবে ইন্টার মায়ামিতে চিন্তা ভাবনা করেই যোগ দিয়েছেন মেসি। তিনি বলেন, ‘আমার সিদ্ধান্তটা অনেক কিছুর ওপর ভিত্তি করে নেয়া ছিল। এ ব্যাপারে অনেক চিন্তা করেছি এবং আমার পরিবারের সঙ্গেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি এখানে এসেছি, যাতে ফুটবল উপভোগ করতে পারি। এটাই আমি আমার সারা জীবন উপভোগ করেছি এবং আমি তা যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি পছন্দ করেছি। বলা যেতে পারে আমি বেশ সুখী। শুধু মাঠের ফলাফলের কারণে নয়, আমার পরিবারের কারণেও।’
শুধু মায়ামিই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরের অভিজ্ঞতাও বেশ ভালো বলছেন মেসি, ‘আমি দলের সঙ্গে দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলেছি এবং সেখানকার লোকজনও আমাকে যেভাবে মূল্যায়ন করেছে সেটি দারুণ ছিল।’
আগামীকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের লিগস কাপের ফাইনালে নাশভিলের মুখোমুখি হবে ইন্টার মায়ামি। টানা ৬ গোল করে দলকে ফাইনালে তোলার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব তো মেসিরই। মায়ামির হয়ে প্রথম শিরোপা জেতার বিষয়ে মেসি বলেন, ‘এটি দারুণ হবে, তাই নয় কি? আমি, ক্লাব কিংবা ক্লাবটির সমর্থক, সবার জন্যই।’