যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ও যশোর সেনানিবাসের সিগন্যালস ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের (এসটিসিএস) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এতে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রযুক্তি সহযোগিতার মাধ্যমে পারস্পরিক স্বার্থে কাজ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে গতকাল সোমবার এ সমঝোতা স্মারক সই হয়। যবিপ্রবির পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব এবং যশোর সেনানিবাসের এসটিসিএসের পক্ষে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহিনুর রহমান প্রশাসনিক পর্যায়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
সমঝোতা স্মারকের প্রধান লক্ষ্যগুলো হচ্ছে-যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জানা তথ্য ও প্রযুক্তি আদান-প্রদান সেনাবাহিনীতে কর্মরতদের স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যায়ন
শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত তথ্যাদি বিনিময়
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সাধারণ সুবিধাদি প্রদান করা
সমঝোতা স্মারক সইয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় করেন যবিপ্রবির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব এবং ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ইঞ্জিনিয়ার ইমরান খান।
সমঝোতা স্মারক সইয়ের সময় যবিপ্রবির সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামরুল ইসলাম, উপ-রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) মোহাম্মদ এমদাদুল হক, সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আকন্দ, প্রভাষক ড. এ. এফ. এম. শাহাব উদ্দিন, মেহেদী হাসান, আবু রাফে মো. জামিল, এস. এম আরিফুল হক, জুবায়ের আল-মাহমুদ এবং এসটিসিএসের কর্নেল মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, লে. কর্নেল মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, লে. কর্নেল মো. হাসিনুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমঝোতা স্মারক সইয়ে যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, “এই সমঝোতা স্মারক দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতাকে আরও জোরদার করবে। এর ফলে উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারবেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নতি করতে পারবেন।
যশোর সেনানিবাসের এসটিসিএসের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহিনুর রহমান বলেন, “এই সমঝোতা স্মারক দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। এর ফলে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে এবং উভয় প্রতিষ্ঠানই একে অপরের কাছ থেকে উপকৃত হবে।”