কহিনুর পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী শহরস্থ ৪ নং ওয়ার্ডের আরামবাগ এলাকা থেকে অস্ত্র গুলি ও বিপুল পরিমাণ
চোরাই মালামালসহ কুখ্যাত ডাকাত মোঃ মনিরুজ্জামান মুন্না পুলিশের হাতে গ্রেফতার।
এ বিষয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপ্স) রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের, পিপিএম পটুয়াখালী জানান, গত ৫ই নভেম্বর থেকে ১৯শে নভেম্বর- ২০২৩ ইং পটুয়াখালী সদরের আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত কাস্টমস অফিসার একেএম কবির উদ্দিন (৭২) এর বসত ঘরের পিছনের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে স্টীলের আলমারি ভেঙ্গে আলমারির লকারে থাকা লাইসেন্সকৃত ১টি পিস্তল, ১টি শর্টগান (এসবিবিএল), ১টি রিভলভার (সদৃশ) অস্ত্র, ১রাউন্ড পিস্তলের গুলি, শর্টগান (এসবি বিএল) এর ৪১ রাউন্ড কার্তুজ এবং ঘরে রক্ষিত বিপুল পরিমান মালামাল চুরি হয়।
উক্ত এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
যাহার দরুন পুলিশ খবর পেয়ে সাথে সাথে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য, উপাত্ত, আলামত সংগ্রহ পূর্বক ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তৎপর হন। পরে অবসরপ্রাপ্ত কাস্টমস অফিসার একেএম কবির উদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।তারই ধারাবাহিকতায় সদর থানার একটি চৌকস পুলিশের টিম সোমবার (২০শে নভেম্বর) সারারাত ব্যাপী অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালীর আরামবাগ এলাকা হতে ঘটনার সাথে জড়িত মোঃ মনিরুজ্জামান মুন্না (৪৪), পিতা-মতিউর রহমান, সাং-পূর্ব আরামবাগ, ০৪ নং ওয়ার্ড, পটুয়াখালী পৌরসভাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এবং চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামী মনিরুজ্জামান মুন্না স্বীকার করে আরো জানান যে, সে পূর্বে কাঠমিস্ত্রীর কাজসহ বিভিন্ন পেশায় জড়িত ছিলো এবং বর্তমানে সে একটি প্রতিষ্ঠানের ডে-গার্ড হিসেবে মাষ্টাররোলে চাকুরী করেন।
এবিষয়ে আটককৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ এবং মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ঘটনার সাথে আরো জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও গ্রেফতার কৃত মুন্না ছাড়াও বাকীদের আইনের আওতায় আনার জোর চেষ্টা অব্যহত
রয়েছে বলে জানান।