রাজধানীর মিরপুরে একটি আবাসিক হোটেলে আনন্দ টিভির সাংবাদিক ও হোটেল কর্মচারীদের সাথে মারামারির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে শাহ আলী থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে আনন্দ টিভির সিটি রিপোর্টার ইমন।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখাযায় রাজধানীর মিরপুরের একটি আবাসিক হোটেল লন্ডন প্যালেসে গত সোমবার দুপুরে আনন্দ টিভির সিটি রিপোর্টার ইমন ও সাথে তার ক্যামেরা ম্যানকে নিয়ে হোটেলে যায়। গিয়ে ওখানে দায়িত্ব থাকা ম্যানেজার কে হুমকি ধামকি দিয়ে বলেন আপনাদের এখানে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আমরা সব জানি আমরা নিউজ করবো নাহয় পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিবো, হোটেলের ম্যানেজার বলেন আমাদের এখানে কোন অবৈধ কাজ হয়না আপনারা আসছেন চা খেয়ে চলে যান।
তখন আনন্দ টিভির সাংবাদিকরা বলেন চা খেয়ে যাবো না আমাদের ৫০০০/= (পাঁচ হাজার টাকা) দেন আমরা চুপচাপ চলে যাই কোন নিউজ ও হবেনা পুলিশ ও আসবেনা কেউ জানবে না তখন হোটেলের ম্যানেজার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তখন আনন্দ টিভির লোকজন তাদের উপরে আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়, এবং ক্যামেরা বের করে ভিডিও করার চেষ্টা করে ভিডিও করতে বাধা দিলে তখন তারা হোটেলের ম্যানেজারকে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢুকে জোর করে ভিডিও করার চেষ্টা করে এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। মারামারির কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ।
হোটেল কর্তৃপক্ষ আরো বলেন আনন্দ টিভিতে আমাদেরকে নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন তারা সংবাদের মধ্যে যেসব নারীদের ভিডিও সংযোগ করে দেওয়া হয়েছে সেসব নারীরা আমাদের হোটেলের না বিভিন্ন জায়গা থেকে ভিডিও সংগ্রহ করে আমাদের হোটেলের এই ঘটনার সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। তারা আরো বলেন এসব ভিডিও অনেক আগে অনলাইন ইউটিউবে মানুষ ছেড়েছে সেখান থেকে তারা নিয়েছে আপনারা চাইলে যাচাই করে দেখতে পারেন।
হঠাৎ করে আনন্দ টিভির সাংবাদিক বনে যাওয়া ইমনের বিষয়ে আমরা একটু অনুসন্ধান করি অনুসন্ধানে জানা যায় কয়েক বছর আগে চুলার গ্যাসের মিস্তিরির কাজ করতেন ইমন। সেই সুবাদে কালের কান্ঠের এক সিনিয়র সাংবাদিকের সাথে পরিচয় হলে রূপনগর দুয়ারিপাড়ার এলাকার বিভিন্ন জুয়ার স্পট, সড়ক চাঁদাবাজি, দখলবাজির খবর দিতো। সেই থেকে ইমন হয়ে যায় সাংবাদিক। বিভিন্ন পরিচয়ের সুবাদে রূপনগরে রূপনগর ক্লাব খুলে তার ভিতরে অসামাজিক কার্যকলাপ ও জুয়া পরিচালনা করতে থাকে। বাংলাদেশ একাত্তর.কমে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে জুয়ার স্পটে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৪৪ জুয়ারীকে আটক করে। রূপনগর থানাধীন “রূপনগর ক্লাবের জুয়ার বোর্ড থেকে র্যাব সদস্যরা নগদ ‘৭২ হাজার ২শ ৩৫ টাকা, বিভিন্ন নামি-দামি ব্যান্ডের ৪৭ টা মোবাইল ফোন,১৮টা মানিব্যাগ ও ৮ সেট তাস উদ্ধার করে।ইমন তখন ময়লার ড্রেনের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে রূপনগর ওই এলাকা ছেড়ে এক বছর গা ঢাকা দেয়।
হঠাৎ কিছু দিন ধরে আনন্দ টিভির লোগো যুক্ত ক্যামেরা ও মোটরসাইকেল নিয়ে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকা দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায়। এলাকাবাসী হতবাক! কিভাবে একজন গ্যাসের চুলা মিস্তিরি, জুয়ার স্পট পরিচালনাকারী, আনন্দ টিভির মতো একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভির সাংবাদিক হলেন? সর্বমহলে এটাই আলোচনা সমালোচনা চলছে।