ঢাকার সাভারের আড়াপাড়ায় রনি নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) সকালে ৬ তলা ভবনের ৩ তলা থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। যুবকের মুখে ও শরীরে আঘাতের চিহৃ থাকায় নিহতের পিতা ঘটনাটিকে হত্যা বলে দাবি করেছেন।
জানা গেছে, আড়াপাড়া এলাকার আজিজুল হকের ছেলে রনি হোসেন অভি (২৩) প্রায় ৫ বছর আগে বিয়ে করেন পৌরসভার ডগরমোড়া এলাকার খোকনের মেয়ে সাহেরা বেগম তানহা (২০) কে। বিয়ের পরে তারা ওই এলাকার আফাজ উদ্দিন সরকারের বাড়ির ৩ তলায় ভাড়া থাকতেন। তাদের রুমাইসা নামে ৯ মাসের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। বিভিন্ন কারণে দুজন দুজনকে সহ্য করতে পারতোনা। সোমবার (২ অক্টোবর) রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়।
এর এক পর্যায়ে রাত প্রায় ১২টার দিকে রনি তার স্ত্রী তানহাকে ঘর থেকে বের করে দেন। ওই রাতেই বাড়িওয়ালার ছেলে তানভীর বিষয়টি মিমাংসা করে রনির ঘরে দিয়ে আসেন তানহাকে। রাত প্রায় ২ টার দিকে তানহা জানালা দিয়ে দেখেন যে, তার বিছানার ১ হাত দূরে বারান্দায় গ্রীলের সাথে গলায় গামছা পেচানো অবস্থায় রনির লাশ ঝুলে আছে।
সাহেরা বেগম তানহা জানান, তিনি পূর্ববর্তী স্বামী আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার এমরানকে তালাক দিয়ে পরে রনির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিল ছিল না। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। যে কারণে রাগ করে তানহা তার মা খাদিজার বাসায় চলে যান।
সেখান থেকে ঘটনার দিন রনি স্ত্রী তানহাকে নিয়ে আসেন। রাতেই আবার ঝগড়া হলে রনি তাকে বাসা থেকে বের করে দেন। পরে বাড়িওয়ালার ছেলের মধ্যস্থতায় ঘরে আসেন তানহা। তার কিছুক্ষণ পরেই তিনি জানালা দিয়ে দেখতে পান স্বামী ঝুলন্ত লাশ।
তিনি আরো জানান, আমার স্বামী আমার কারণেই মারা গেছেন। তাই আমি দোষ স্বীকার করছি।
নিহত রনির বাবা আজিজুল হক জানান, বারান্দায় যেভাবে রনির লাশ পাওয়া গেছে এতে ধারনা করা যায় রনিকে কেউ হত্যা করে লাশ গ্রীলের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। এছাড়াও রনির মুখে ও শরীরে আঘাতের চিহৃ ছিল। আমি এ ব্যাপারে অভিযোগ করতে চাইলে থানা থেকে আমাকে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করতে বলছে।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, নিহত রনির ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এর আগে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা বলা যাবে না।