ঢাকার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নিজের ঘর থেকে এক যুবকের মুখ বাঁধা গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মৌচাক দক্ষিণ কলাবাধা এলাকা থেকে আমির হামজা (৪০) নামে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে গাজীপুর মহানগরে অটোরিকশাচালকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (১ অক্টোবর) ভোরের দিকে মহানগরের কোনাবাড়ি থানার বাঘিয়া এলাকার বারেক সড়ক থেকে আমিনুল ইসলাম (৩০) নামে ওই চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
খবর পেয়ে দুটি লাশই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে গাজীপুরের শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠায় পুলিশ। কালিয়াকৈর প্রতিনিধি জানান, রবিবার (১ অক্টোবর) হত্যার শিকার যুবক আমির হামজা উপজেলার মৌচাক দক্ষিণ কলাবাধা এলাকার সোহরাব বয়াতীর ছেলে। তিনি পাড়া-মহল্লায় গানবাজনা করতেন ও ঘরভাড়া দিয়ে সংসার চালাতেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, কয়েকদিন আগে তিন সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি টাঙ্গাইলে বেড়াতে যান হামজার স্ত্রী। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘরে একাই ছিলেন হামজা। রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে সাদা কাপড় দিয়ে তার মুখ বেঁধে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
মাঝরাতে পাশের ঘরের ভাড়াটিয়া তার ঘরের দরজা খোলা দেখেন। ঘরে গিয়ে বিছানার ওপরে উলঙ্গ অবস্থায় হামজার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। কালিয়াকৈর থানার মৌচাক ফাঁড়ির পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, হামজা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। পূর্ব শত্রুতা বা মাদকসংশ্লিষ্ট ঘটনায় হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা।
এদিকে গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, মহানগরীর বারেক সড়ক থেকে উদ্ধার হওয়া চালক আমিনুল ইসলাম ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার জোড়বাড়িয়া গ্রামের মৃত সাহা আলীর ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ি থানার আমবাগ আতাউর মার্কেট এলাকায় ভাড়া থেকে ব্যাটারিচলিত অটোরিকশা চালাতেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে বাঘিয়ার বারেক সড়কে অটোরিকশাচালক আমিনুলের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা।
কোনাবাড়ি থানার ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, নিহতের সঙ্গে থাকা টাকা পয়সা ও অটোরিকশাটি খোয়া যায়নি। পূর্ব শক্রতার জেরে দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্রে গলাকেটে হত্যার পর লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কারা তাকে হত্যা করেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।