রাজধানীর মিরপুরে কমার্স কলেজের পাশে বৃষ্টির পর রাস্তায় জমে থাকা পানিতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় এ পরিবারের শিশু হোসাইন।
মায়ের কোলে থেকে ছিটকেপানিতে পড়ে যাওয়ায় পর তাকে উদ্ধার করে অনিক নামের এক যুবক। পরে হোসাইনের বোন লিমাকে বাঁচাতে গিয়ে অনিকও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যায়।
বর্তমানে শিশু হোসাইনের দেখাশোনা করছেন আমেনা বেগম নামে এক নারী। তিন ঝিলপাড় বস্তির বাসিন্দা।
এছাড়াও শিশু হোসাইনকে বাঁচাতে সাহায্য করেছে হিজড়া জনগোষ্ঠীর বৃষ্টি। এই বৃষ্টিই রাত সাড়ে ১২টার দিকে হোসাইনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, মিরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চারজন নিহত হওয়ার ওই ঘটনাস্থল থেকেই শিশুটিকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টি হাসপাতালে নিয়ে আসে। শিশুটি ভালো আছে। চিকিৎসা শেষে ভোর ৪টার দিকে হোসাইনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
শনিবার সকালে শিশু হোসাইনকে নিয়ে মিরপুর মডেল থানায় আসেন আমেনা বেগম। সেখানে তিনি শিশু হোসাইনের বেঁচে যাওয়া ঘটনা গণমাধ্যমকে বর্ণনা করেন।
এরআগে, বৃহস্পতিবার মিরপুরে এ ঘটনা ঘটে। ৪ জনের মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে নেয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার এরশাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে খবর আসে মিরপুর কমার্স কলেজ এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৪ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন- মো: মিজান (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৫), মেয়ে লিমা (৭) এবং তাদের উদ্ধার করতে যাওয়া, মোহাম্মদ অনিক (২০)। মিজানের আরেক ছেলে হোসাইন (৭ মাস) বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক রুহুল আমিন বলেন, দশ মিনিট আগে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ থেকে আমাদের ফোন করে জানানো হয়েছে চারজন মারা গেছেন। নিহতদের পরিচয় ও বিস্তারিত তথ্য জানতে হাসপাতালে আমাদের অফিসাররা যাচ্ছেন।