প্রবাসী হয়ে আরএক প্রবাসীর সাথে প্রতারণার ঘটনা আমাদের দেশে খুবই কম ঘটলেও কিন্তু ঘটনাটি কারো কারো কাছে আশ্চর্য জনক মনে হলেও সত্যি এই ঘটনাটি ঘটেছে,
সৌদি আরব প্রবাসী মিতু আক্তার নীলার সাথে প্রতারণা করে দুই সন্তানের জনক খোকন বিবাহের ছলনা করে হাতিয়ে নিয়েছে ৭ লক্ষ টাকা। দীর্ঘ তিন বছর ফেসবুকে সম্পর্ক হওয়ার পর ১৩ ই অক্টোবর ২০২২ সালে দুজনের বিবাহ হয়। নারায়নগঞ্জ এর সৌদি আরব প্রবাসী মিতু আক্তার নীলা ও ওমান প্রবাসী খোকন উভয়েই বাংলাদেশে এসে এই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় খোকন।
খোকন তার নিজের পরিচয় গোপন রেখে অবিবাহিত সেজে এই প্রতারণার ফাদ পাতেন।
ভোলা জেলার লালমোহন থানার কুল চড়া গ্রামের আনিসুল হকের ছেলে খোকন। মা বাবা হারানো মিতু আক্তার নীলাকে খ্রিস্টান ধর্ম থেকে মুসলমান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার কারণে তার আত্মীয়-স্বজনরা তাকে পরিচয় দিচ্ছেন না এবং তার তার চাচা জ্যাঠারা তাকে বাড়িঘরে উঠতে দিচ্ছে না এবং সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত করেছে। মিতু তার অধিকার ফিরিয়ে পেতে এই প্রতারণার বিচারের দাবি ধারে ধারে ঘুরছে।
খোকনের পিতা আনিসুল হক মা বিলকিস বোন ও তার বিবাহিত স্ত্রী সকলেই এই প্রতারণার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে দাবি মিতু আক্তারের।
বিভিন্ন সময়ে বোন ও স্ত্রীকে বোন বানিয়ে টেলিফোনে কথা বলিয়ে সুকৌশলে খোকন প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ টাকা।
প্রতারক খোকন সকল কিছু হাতিয়ে নিয়ে মিতুর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে আবার সৌদি আরব প্রবাসে চলে যায়। খোকনের মা বাবা ও তার স্ত্রী মিতুকে বউ হিসাবে স্বীকার করে মেনে নিলেও অবিবাহিত খোকনের প্রতারণা শিকার হয়ে দিশেহারা প্রবাসী ফেরত মিতু আক্তার।
সরজমিনে অনুসন্ধান কালে মিতু আক্তার সাংবাদিকদের বলেন আমরা দুজনেই দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে মোবাইলে নিয়মিত যোগাযোগ করে এক পর্যায়ে বাংলাদেশে দুজনই চলে আসি। বাংলাদেশে এসে সাভারের ফ্যান্টাসি কিংডমে আমরা সরাসরি দেখা করি এক পর্যায়ে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানে একটি কাজী অফিসে আমরা দুজনেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই।
এরপরে ওখানেই একটি ভাড়া বাসায় আমরা উঠি এবং ১৪ দিন আমরা সংসার করি, ১৫ দিনের মাথায় খোকন পুনরায় সৌদি আরবে চলে যায় । সৌদি আরবে গিয়ে কিছুদিন ঠিকঠাক যোগাযোগ রাখলেও তার কিছুদিন পর আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় অনেক কষ্ট করে তার সাথে পুনরায় যোগাযোগ করতে সক্ষম হই, যোগাযোগ করতে সক্ষম হলেও ঠিকঠাক কথা বলতো না খোকন । কোন উপায়ান্তর না পেয়ে আমি ওর গ্রামের বাড়িতে যাই এবং ভোলার লালমোহন থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।