মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
Homeঅপরাধসুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যর অভিযোগ

সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যর অভিযোগ

spot_img

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি পুনঃগঠনের লক্ষ্যে দাতা সদস্য তৈরিতে অনিয়ম, প্রধান শিক্ষক পকেট কমিটি করার চেষ্টার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকলে ব্যস্ত থাকার মধ্যে অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছেন।

এ বিষয়ে অত্র বিদ্যাললয়ের সাবেক সভাপতি ও ৭নং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি জি,এম, সালাউদ্দীন আহমেদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামনগর, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শ্যামনগর, জেলা শিক্ষা অফিসার সতক্ষীরা, জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা মহোদয় সাতক্ষীরা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। প্রধান শিক্ষক নির্ধারিত সময়ের পর তার পছন্দনীয় ব্যক্তি এস.এম. শফিকুল ইসলামকে গোপনে ডেকে ব্যাকডেটে রশিদ কেটে দাতা সদস্য তৈরী করেছেন। তিনি উক্ত টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজের পকেটে রেখেছেন। কারণ, ব্যাংকে ব্যাক ডেট দিয়ে টাকা জমা হয় না।

ইহাতে প্রমাণিত হয়, তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের পছন্দনীয় ব্যক্তিকে দাতা সদস্য করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের চক্রান্ত করছেন। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে প্রধান শিক্ষক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এস.এম. রবিউল ইসলাম যোগসাজসে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে গোপনে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঐ দিনের স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগর উপজেলায় বরাদ্ধকৃত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া সকল পত্রিকা কিনে গোপন করেন। যাতে মনোনীত প্রার্থীর বাইরে স্থানীয় কোন প্রার্থী আবেদন করতে না পারে। এভাবে চক্রান্ত করে নৈশ প্রহরী পদে তার ফুফাতো ভাই সুপিয়ান গাজীকে নিয়োগ দিয়েছেন। পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন নবতরণ মিস্ত্রী।

অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পেয়েছেন মিঠু বরকন্দাজ। ৩টি পদে প্রার্থী হিসেবে আবেদন করিয়েছিলেন প্রার্থীদের নিকট আত্মীয়, স্ত্রী, শ্যালক, ভাগ্নে, খালাতো ভাই ও বন্ধু। প্রার্থীদের নিকটতম ব্যক্তি ছাড়া স্থানীয় আর কোন প্রার্থী আবেদন করার সুযোগ পায়নি। এরপর গোপনে নিয়োগ বোর্ড গঠন করে সাতক্ষীরায় যেয়ে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেন। ষড়যন্ত্র হিসেবে অলিখিত রেজুলেশনে পূর্বেই কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর করিয়ে রাখা পাতার রেজুলেশনগুলি লিখে বিদ্যালয়ে প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

যোগদান করানোর পর স্থানীয় ব্যক্তিগন বিষয়টি জানতে পারেন। উক্ত নিয়োগের বিষয় ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ ও সকল শিক্ষকরা বিষয়টি জানতেন না। তারা অবাক, কখন বিজ্ঞপ্তি দিল ও কিভাবে নিয়োগ হল। যোগদানের পর সকলে জানতে পারেন নিয়োগ হয়েছে। উক্ত অবৈধ নিয়োগের বিষয়ে সাতক্ষীরা আদালতে ৩টি মামলা হয়। ১টি মামলার বাদীকে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে মিমাংসা করে নিয়েছে। বাঁকি ২টি কেস এখনও চলমান আছে। কেস ২টি যথাক্রমে- সি.আর -৬৬৯/২২ ও সি.আর ৬৭০/২২।

এমন পরিস্থিতিতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ৩য় পর্যায়ে অনুমোদন পাওয়ার আগেই মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ২০২২ সালে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। বর্তমানে গোপন সূত্রে জানতে পারলাম, কম্পিউটার ল্যাব চালু না করে এবং ৩য় পর্যায়ে চুড়ান্ত অনুমোদন না পেয়ে তড়িঘড়ি করে ৩০ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে পুনঃরায় নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শ্যামনগর উপজেলার ঘূমঘাট গ্রামের অশোক মিস্ত্রী এর পুত্র বাপী মিস্ত্রীকে প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এস.এম. রবিউল ইসলাম নাম মাত্র পাতানো পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।

কেবল নামমাত্র পরীক্ষার আনুষ্ঠানিকতা বাকী। তবে উক্ত অর্থ বানিজ্য বিষয়টি নিয়ে সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেনের মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন এটা একটা বাজে কথা বা সম্পন ভিত্তিহীন আমাদের ম্যানেজিংকমিটি তৈরী জন্য প্রিজাইডিং অফিসার ও নিয়োক দিয়েছেএখানো কোন নিয়োগ হয়নি। এগুলো বাজে কথা নিয়ম ম্যআনএজইংকমইটইর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওপ‌একায় সাকুল্যের স্বাভাবিক ভাবে এগানো হচ্ছে নিয়ম অনুযায়ী সময় মত নিয়োগ হবে।তবে এলাকাবাসীর দাবি সৃষ্ট পদে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে ল্যাবের অনুমোদন বা কার্যক্রম শুরুর পূর্বে যাহাতে নিয়োগ কার্যক্রম করিতে না পারে এ বিষয়ে সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। দূর্নীতির বিষয়ে এলাকাবাসীর দাবি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ খবর

spot_img
আরও খবর
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here