নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের সংসদ সদস্য বা এমপি হলেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান “জাতীয় সংসদের” একজন সদস্য। সাধারণত তিনি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। তবে নারীদের জন্য পরোক্ষভাবে সংসদ সদস্য মনোনীত হওয়ার রেওয়াজ প্রচলিত রয়েছে। সংসদ সদস্যকে কখনো কখনো “সাংসদ” হিসাবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। সংসদ সদস্যকে ইংরেজিতে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ (এমপি) বলা হয়। বাংলাদেশে এggক কক্ষবিশিষ্ট সংসদীয় স্তর বিরাজমান। এককক্ষ বিশিষ্ট এই আইনসভার সদস্য সংখ্যা ৩৫০; যার মধ্যে ৩০০ জন সংসদ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন এবং অবশিষ্ট ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যগণ নির্বাচিত ৩০০ সংসদ সদস্যের ভোটে (পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে) নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্যদের মেয়াদকাল ৫ বছর।
সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব –
সংসদ সদস্য নিয়মিতভাবে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং জাতীয় সংসদের কার্যবিধি অনুযায়ী স্বীয় দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি একনাগাড়ে ৯০ দিন অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্যপদ হারাবেন। একজন সংসদ সদস্য আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে যথাযথ পদ্ধতি অবলম্বনপূর্বক বিল উত্থাপন করতে পারবেন এবং তিনি অন্য কোন সংসদ সদস্য কর্তৃক উত্থাপিত বিলের ওপর ভোট দিতে পরবেন। ১৫ দিনের নোটিশ সাপেক্ষে তিনি জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবেন। স্পীকারের অনুমোদনসাপেক্ষে তিনি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণমূলক বক্তব্য প্রদান করতে পারবেন।
নড়াইলের জনগণ কেন লায়ন নূর ইসলামকে ভোট দিবেন?
আইন প্রণয়নে যথাযথ পথ অবলম্বন করে বিল উত্থাপন করা একজন সংসদ সদস্যের কাজ। এজন্য একজন সংসদ সদস্য
প্রার্থীর বাংলাদেশের আইন ও সংবিধান সম্পর্কে থাকতে হবে সম্যক ধারণা ও জ্ঞান। লায়ন নূর ইসলামের ৩৫ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে প্রয়োজনের তাগিদেই এদেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণার অধিকারী হ’তে হয়েছে। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক এবং সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত রাস্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সংসদ সদস্য না হয়েও ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ এবং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে-২০১৪, দু’টি আইনের প্রস্তাবিত প্রস্তাবক তিনি। অতএব সংসদ সদস্যের আইন প্রণয়নে কী ধারণা, জ্ঞান থাকতে হবে তা তিনি অবহিত। যার আইন সম্পর্কে ধারণা আছে, সে অন্যের উত্থাপিত কোন বিলটিতে ভোট দিতে হবে তা তিনি বুঝেন । এদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে তিনি রাজপথে ও বিভিন্ন সভা সমাবেশে ছিলেন সোচ্চার।
৭ আগস্ট প্রস্তাবিত “সাইবার সিকিউরিটি আইন” মন্ত্রী পরিষদে উঠার পর-ই তিনি জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার জরুরি মিটিং ডাকেন এবং মাননীয় আইন মন্ত্রীকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেন মানহানি মামলায় প্রস্তাবিত সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা একজন সাংবাদিকের জন্য যৌক্তিক নয় এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে সাংবাদিক সংসস্থার ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাতের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। নিঃসন্দেহে এ’টি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এছাড়াও সাংবাদিকদের বিভিন্ন সমস্যা, অপসাংবাদিকতা রোধ, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি নিয়ন্ত্রনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি কথা বলে আসছেন। বাংলাদেশ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি সর্বদা মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ।
তিনি সাদাকে সাদা বলতে কখনও আপোষ করেন না। সংবিধানে গণমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভ বলা হ’লেও তারা অন্যান্য তিনটি স্তম্ভ যেমন সংসদ, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের মতো সুযোগ সুবিধা পান না বরঞ্চ তারা পদে পদে নিগৃহীত হন। জনগণ সাংবাদিকদের মাধ্যমেই দেশের অবস্থার উন্নতি, অবনতি বিগত বছরগুলোতে জানতে পেরেছেন । প্রতিনিয়ত সংবাদকর্মীরা সত্যকথা লিখতে গিয়ে নিগৃহীত হচ্ছেন। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে তৃণমূল সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় তার ভূমিকা অসাধারণ। তাই জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিনি মিডিয়া কোটায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নমিনেশন প্রার্থী। তিনি নড়াইলে রাস্তা ঘাট তৈরি ও মেরামত, বিদ্যুতায়ন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং খেলাধুলার উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। সাহায্য প্রার্থীরা তাহার সহযোগিতা পায়নি এমন কোনো নযীর নেই, হোক সেটা অর্থনৈতিক কিংবা মানসিক বা অন্যকিছু।
কেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লায়ন নূর ইসলামকে নমিনেশন দিবেন?
রাজনীতি রাজনীতিবীদদের হাতে থাকা উচিত বলে সবাই মনে করে। কতটুকু আছে ভাববার বিষয়। ৭৫ পরবর্তী সময় যখন নড়াইলে আওয়ামী লীগের নাম কেউ নেওয়ার সাহস করতো না তখন লায়ন নূর ইসলাম ছাত্রলীগ করতেন এবং কয়েকজন বন্ধু মিলে দলকে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করেছেন। ছাত্রলীগ করতে গিয়ে তিনি বহুবার শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হিসেবে তিনি সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কার্যক্রম, বাংলাদেশ ক্রেতা-ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালনা, জাতীয় দৈনিক পত্রিকা নিয়মিত সম্পাদনা ও প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি নড়াইলের সক্রিয় রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন কিন্ত প্রতি সপ্তাহে তিনি এলাকায় গিয়ে জনগণের সাথে থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী সমস্যার সমাধান করছেন। বর্তমানে তিনি মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং মুক্তিযোদ্ধা লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বোপরি রাজনীতি “রাজনীতি বীদদের” হাতে ছেড়ে দেয়া এবং উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া নড়াইল-২ আসনের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, কৃষি ও শিল্প উন্নয়নের স্বার্থে সাংবাদিক নেতা, সম্পাদক, আওয়ামী লীগের দুর্দিনের ত্যাগী ও সাহসী নেতা লায়ন নূর ইসলামকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নড়াইল-২ সংসদীয় আসনে নমিনেশন দিবে তাহাই সাংবাদিক সমাজ ও নড়াইল- লোহাগড়ার জনগণ প্রত্যাশা করে।