চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:- চট্টগ্রামে পটিয়া উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন জমজমাট মাদকের ব্যবসা চলছে। ক্ষমতাসীন দলের একশ্রেণীর পাতি নেতাদের মাধ্যমে মাদক পাচার ও ব্যবসা চলে আসছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। স্থানীয় সুএে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক হাইদগাও – কেলিশহর ইউনিয়নের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, হাইদগাও ইউনিয়নের কুতুবউদ্দিন – নিজাম উদ্দিন তারা দুই ভাই ৫০ সদস্য একটি সিন্ডিকেট গঠন পটিয়া পুর্বঅঞল পাহাহাড়ি সুড়ঙ্গ পথে মাদক এনে জমজমাট ব্যাবসা চালাচ্ছে।
তাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে পারছে না। সুএে জানাযায় বিএনপি’র ক্যাডার জসিম খুনের পর তার অস্ত্র গুলো কুতুবউদ্দিন ও মহিউদ্দিন এবং সাহেদ এর হাতে রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত এ অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। ক্যাডার জসিম এর অস্ত্র দিয়ে পাহাড়ি জনপদ দিয়ে এনে পটিয়াকে মাদকের ছড়াছড়ি করে যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। বিশেষ করে ৩ শতাধিক স্পটে ইয়াবা বিকিকিনি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর।
তার মধ্যে পটিয়ার কেলিশহর, রতনপুর, ভান্ডাল ঝুঁডি,মাঝির পাড়া, দারগা হাট, বডুয়ার টেক,ভট্টাচার্যের হাট, সেন পাড়া কালাবাবার আশ্রম, আকবর শাহ মাজার ও সাতগাঁওছিয়া মাজার সংলগ্ন এলাকা, তৈতুলতলা, মরা খাল এলাকা,কাজী পাড়া, ধলঘাট ক্যাম্প,প্রভাষ্টোর, করনখাইন, প্রসন্ন মাঝির ব্রিজ, ঘোষের হাট, তেকোটা,কোলাগাঁও, কোলাগাঁও টেক, সফর আলী মুন্সির হাট, মোহাম্মদ নগর, পাচুঁরিয়া, হুলাইন, মিলিটারী পুল, মনসার টেক, মনসা চৌমুহনী, মেহের আটি, হরিণ খাইন, গোরণ খাইন, ফকিরা মসজিদ, কৈড়গ্রাম, কাশিয়াইশ নতুন বাজার, কর্ত্তলা, বেলখাইন, বেল্লা পাড়া, শান্তির হাট, কুসুমপুরা, লেঙ্গার দোকান, মালিয়ারা বাজার, আশিয়া বাংলা বাজার, বাথুয়া, মেলঘর, জঙ্গল খাইন, মৌলবীর হাট, আমজুর হাট, শাহ্ আমানত ফিলিং ষ্টেশন, বাড়ৈপাড়া, গৈড়লার টেক, ঘোষের হাট, কৃষি স্কুল, বাদামতল, শাহাগদী মার্কেট, উনাইন পুরা, কাগজীপাড়া, ইন্দ্রপুল, রেলওয়ে ষ্টেশন, আমির ভান্ডার রেল গেইট, বিওসি রোড়, দক্ষিণ ভূর্ষি, উত্তর ভূর্ষি, নাথ পাড়ার টেক,, মাতৃভান্ডার, খানমোহনা,ঈশ্বর খাইন, আলামপুর, কেলিশহর, মৌলভীহাট, ছত্তার পেটুয়া, বড়ুয়া পাড়া, মাইজ পাড়া, দারোগা হাট, খিল্লা পাড়া, কেলিশহর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন, ভট্টাচার্য্য হাট, কেচিয়া পাড়া, হাইদগাঁও, কাজি পাড়া, মাহাদাবাদ, ডুয়ার পাড়া, ছনখোলা, দীঘির পাড় হাট,
শোভনদন্ডীর মহাজন হাট, আজিমপুর, হাতিয়ার ঘোনা, এলাহাবাদ, কালিয়াইশ,
ব্রাহ্মণ পাড়া, বাহুলী, চিকন কাজী পাড়া, ধর পাড়া, শীল পাড়া, ছিপাতলীসহ ৩ শতাধিক স্পটে জমজমাট ভাবে মাদক ও ইয়াবা ব্যবসার বিকিকিনি চলছে। পুলিশ ও , মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা একাধিক মাদক কারবারি গ্রেপ্তার করা হলেও কোন অবস্থাতে থামানো যাচ্ছে না মাদক ব্যাবসা। কুতুবউদ্দিন ও নিজাম উদ্দিন এবং সাহেদ
গংদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনলে পটিয়া উপজেলায় কিছুটা হলেও যুবসমাজ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে আশাবাদী পটিয়ার প্রবীন রাজনীতিবীধ আহমদ নুর, গ্রাম ডাক্তার খোরশেদ আলম, ব্যাবসায়ী হাজী নজরুল ইসলাম, সমাজ সেবক দিদারুল আলম, আইনজীবী এডভোকেট জমির উদ্দিন, কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাছির, যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন জাবেদ, শ্রমিকলীগ নেতা মোজাম্মেল হক, ছাএসমাজ নেতা এম এন জসিম উদ্দিন সহ অনেকের অভিমত। স্থানীয়রা অভিযোগ তুলে বলেন,মাঝে মধ্যে পুলিশ গুটি কয়েক মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করলেও বড় বড় মাদক ও ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তাছাড়া সচেতন মহল মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তদন্ত সাপেক্ষে গ্রেফতার করে যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পটিয়ার এম. পি, উপজেলার চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, থানার ওসি সুদৃষ্টি কামনা করেছেন পটিয়াবাসী।