‘র সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদের মনোনয়ন নিশ্চিত বলে দাবি করেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুজ্জামান সুহেল। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের তিনজন ব্যক্তির মনোনয়ন নিশ্চিত হয়ে আছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমান ও কয়ছর আহমেদ। সম্প্রতি জগন্নাথপুর এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মিছবাহুজ্জামান সুহেল বলেন, আমরা গর্ববোধ করি কয়ছর আহমেদ যুক্তরাজ্য তথা সারা বাংলাদেশে জনপ্রিয়। যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন জনসভায় আমি সবসময় একটি কথা বলে থাকি যে, বাংলাদেশে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পরে কয়ছর আহমেদের মনোনয়ন নিশ্চিত হয়ে আছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর গণতান্ত্রিক ধারায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবে। তবে কবে নির্বাচন হবে তা এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোন ঘোষণা দেয়া হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কয়ছর আহমেদের মনোনয়ন নিশ্চিত ঘোষণা দিয়ে সিলেট জুড়ে
তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির আরেক নেতা মিছবাহুজ্জামান সুহেল। তাঁর এই বক্তব্যে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে । তার এই বক্তব্য দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী মন্তব্য করে মিছবাহুজ্জামান সুহেলের বহিষ্কার দাবি করেছেন। তারা বলেছেন এমন বক্তব্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। তাই অবিলম্বে তাঁকে বহিষ্কার করা হোক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেট জেলা বিএনপির এক নেতা জানান, কয়ছর আহমেদের ভয়ে তটস্থ থাকেন যুক্তরাজ্য বিএনপি তথা বিভিন্ন ইউনিটের অনেক নেতাকর্মী। তাঁর নির্দেশ মতো সবাইকে চলতে হয়। তিনি বলেছেন, আমি শতভাগ নিশ্চিত কয়ছর আহমেদের নির্দেশেই মিছবাহুজ্জামান সুহেল এই কথাগুলো দেশে-বিদেশে বলে বেড়াচ্ছেন। তাই মিছবাহুজ্জামান সুহেলের সাথে সাথে কয়ছর আহমেদকেও বহিষ্কার করা উচিত। তা না হলে দলের চেইন অফ কমান্ড ভেঙ্গে যাবে।
এদিকে, সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু বুধবার সিলেটে আয়োজিত এক জনসভায় বলেছেন, তারেক রহমান লন্ডনে থাকা অবস্থায় তিনবার যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হয়ে কয়ছর আহমেদ হ্যাটট্রিক করেছেন। তারেক রহমান তাকে খুবই স্নেহ করেন। কয়ছর আহমেদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা খুবই দৃঢ়। আমরা তাঁর কাছ থেকে রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ নেয়া উচিত। এভাবে নিজস্ব সিন্ডিকেট তৈরি করে দলীয় নেতাকর্মীকে দিয়ে বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিয়ে কয়ছর আহমেদ দেশে-বিদেশে নিজের প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ৮৫ জনের বহর নিয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন কয়ছর আহমেদ। বিপুলসংখ্যক মোটরবাইক ও গাড়ি নিয়ে ব্যাপক শোডাউনের মাধ্যমে এয়ারপোর্ট থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি। তাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে।