সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
HomeUncategorizedযশোর পৌরসভার মেঠো পুকুরের রাস্তা সংস্কারের দাবিতে এলাকাবাসির মানববন্ধন

যশোর পৌরসভার মেঠো পুকুরের রাস্তা সংস্কারের দাবিতে এলাকাবাসির মানববন্ধন

spot_img

২৩ বছরেও যশোর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বারান্দিপাড়ার মেঠো পুকুরের দুই কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ রাস্তার একটু পর পরই খানা খন্দে ভরা, আবার রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরে মধ্যে চলে গেছে। অন্যদিকে রাস্তার পাশে থাকা ড্রেনের ঢাকনা না থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা।

আবার বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে। বৃষ্টির সময় রাস্তায় যেন এক মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। দূর থেকে দেখলে বোঝার উপায় থাকে না এটি রাস্তা নাকি খাল।
বর্তমানে শীতকাল চলছে এই সময়েও গর্ত, খানা, খন্দে ভরা রাস্তা। রিকশা, ভ্যান, বাইসাইকেল এই রাস্তায় চলাচলের অনুপোযোগী। এমনকি মোটরসাইকেল, বৈদ্যুতিক রিকশা চলাচল করতে পারছে না। বাধ্য হয়ে মেঠোপুকুরপাড়ের দেড় হাজার বেশি মানুষ পায়ে হেঁটে যাতায়াতে করছে। এতে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে শিক্ষার্থী, বয়স্ক ও রোগীরা।

বারান্দিপাড়া মেঠো পুকুরপাড়া বাসিন্দা শেখ রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, দুইদিন আগে আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে যায়। রাতে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য রিকশাওলাকে বললে ৫মিনিটের পথের জন্য ২০০টাকা চায়। ২০০ টাকা না দিলে রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন রিকশা চালক।

তিনি আরও বলেন, ভাঙা-চুরা রাস্তায় বেশি টাকা না দিতে পারলে অনেক সময় রোগীদের কাঁধে বা কোলে করে মেন রোডে নিয়ে যেতে হয়। সব চেয়ে বেশি কষ্ট ভোগ করতে হয় ডেলিভারি রোগীদের নিয়ে।

বয়স্ক আবুল কাশেম বলেন, খানা খন্দে ভরে গেছে রাস্তাটি। এখন চলতে গেলেই হোঁচট খেতে হয়। উল্টে যায় রিকশা, ভ্যান, অটো, সাইকেল, মটরসাইকেল। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। সামান্য বৃষ্টি হলেই ড্রেন ও রাস্তা পানিতে ভরে যায়। ফলে এই নোংরা পানি পথচারী ও দুধারের বাড়িতে ভোরে যাই। পাঁচ মিনিটের রাস্তায় যেতে সময় লাগে ১৫ মিনিট।
আব্দুর রশিদ নামে আর এক বাসিন্দা বলেন, ২০০১ সালে রাস্তাটি তৈরি করা হয়। তার পরে থেকে কোনো সংস্কার করা হয়নি এ রাস্তা। রাস্তার পাশ দিয়ে তৈরি ড্রেনের ওপর ডাকনাও ভেঙ্গে গেছে। অধিংশ জায়গায় ড্রেনের ওপরে ডাক না নেই। অনেক সময় বাচ্চারা ড্রেনের মধ্যে পড়ে যায়। রাতে চলকে গেলে হোচট খেয়ে ড্রেনের মধ্যে পড়ে যেতে হয়।

তিনি আরও বলেন, এই কয়দিন আগে আমার নাতি ছেলে সাইকেলে চড়ে স্কুলে যাচ্ছিল। সাইকেল রাস্তার ভাঙ্গায় লেগে পুকুরে মধ্যে পড়ে যায়। তবে এ রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরের মধ্যে চলে গেছে বেশিরভাগ জায়গায়। ফলে রাস্তার প্রশস্ততা কমে গেছে। যার কারণে দুঘটনা ঘটছে বেশি।

রাস্তার সংস্করণের দাবিতে রোববার বেলা ১১টার দিকে যশোর বারান্দিপাড়া মেঠোপুকুরপাড়া কমিউনিটি ফোরামের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে শতাধিক মানুষ উপস্থিত হন।

যশোর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সাইদুর রহমান বলেন, মেঠোপুকুরপাড়া রাস্তার নিয়ে যশোর পৌরসভায় আলোচনা করা হয়েছে। দ্রুত মাপযোগ করে ঢাকায় পাঠানো হবে।
যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ বলেন, ৪০ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। খবু দ্রুত মেঠোপুকুরসহ ছোট বড় অনেক রাস্তার সংস্করণ ও নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও আগামী দুই বছরের মধ্যে যশোর পৌরসভার ছোট বড় আর কোন রোড খারাপ থাকবে না বলে আশা করি।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ খবর

spot_img
আরও খবর
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here