সোমবার, মে ২০, ২০২৪
Homeঅপরাধঅনুমোদন ছাড়াই চলছে সৈয়দপুরে পুকুর খনন, দেখেও নির্বিকার প্রশাসন

অনুমোদন ছাড়াই চলছে সৈয়দপুরে পুকুর খনন, দেখেও নির্বিকার প্রশাসন

spot_img

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়েই একের পর এক পুকুর খনন করা হচ্ছে। গত ছয় মাস ধরে বিভিন্ন ইউনিয়নে পুরাতন পুকুরসহ তিন ফসলী জমিতেও নতুন করে পুকুর তৈরী চলছে। এতে কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়াসহ ভূমির ধরণ বা শ্রেণি পরিবর্তন হচ্ছে। সেই সাথে মাটি পরিবহনে অনবরত ভারি যান ব্যবহার করায় সড়কগুলো ভেঙে যাচ্ছে এবং ব্যাপক ধুলো ও মাটি পড়ে পাকা রাস্তাগুলোর স্থায়িত্ব নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবেশের চরম দূষণ ঘটাচ্ছে। আর নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে খননকৃত মাটি ইটভাটায় বিক্রির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আয় করলেও সরকারকে কোন আয়কর দিচ্ছে না। এমন অবৈধ কারবার মাসের পর মাস ধরে অব্যাহত থাকলেও প্রশাসন নির্বিকার। এলাকার সচেতন মহল জানানোর পরও ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও উপজেলা সহকারী কমিশনার কোন ভ্রুক্ষেপ করছেন না। অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট জমি মালিক ও ইটভাটার মালিকরা প্রশাসনের সাথে জোগশাজস করেই দাপট দেখিয়ে এহেন বেআইনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হাজারীহাট বাজারের অদূরে স্থানীয় ইউপি ভবনের পূর্ব পার্শ্বে হাজারী-চওড়া সড়কের সাথে বেলপুকুর নামে পরিচিত প্রায় বিশ বিঘা জমি জুড়ে অবস্থিত প্রাচীন একটি পুকুর রয়েছে। এই পুকুরটি গত প্রায় দুই মাস যাবত খনন করা হচ্ছে। প্রথম দিকে রাতের আধারে চুরি করে খনন করলেও এখন প্রকাশ্যে ভেকুট্যাগ মিশিন লাগিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে যাচ্ছেন জমির মালিকেরা। সূত্র মতে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ টাকার মাটি কেটে নিয়ে গেছে বিভিন্ন ইট ভাটা মালিকেরা। এজন্য পুকুরটি অতিরিক্ত গভীর করেছে। কাটতে কাটতে প্রায় ১০ ফুটের উপরে গর্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নিয়ম নীতি বা আইনের কোন তোয়াক্কা করা হয়নি।

একইভাবে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলী গ্রামের জিল্লুর চৌধুরী ও কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হাজারী কালী মন্দির এলাকায় এবং বাগিচা পাড়ায় বিষাদু নামে ব্যক্তিরা পুকুর খনন করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার ছোট বড় অনেক স্থানে নতুন নতুন পুকুর তৈরী করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মৎস্য, ভূমি বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি নেয়া হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ কর্মকর্তাদের জানালেও তারা কোন পদক্ষেপ নেননি। এমনকি সংবাদ কর্মীরা সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ইউএনও, এসিল্যান্ড ও ইউনিয়ন তহশিলদারদের অবগত করলে দেখছি বলে জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

সর্বশেষ মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, দুটো ভেক্যুট্যাগ দিয়ে মাটি কেটে প্রায় ১০ টি ট্রলিতে করে মাটি নিয়ে যাচ্ছে। এসময় ওই পুকুর মালিকের একজন গোলজার চৌধুরী বলেন, আমাদের পুকুর আমরা খুঁড়ছি তাতে কার কি? লোক পাওয়া যাচ্ছেনা তাই ভেক্যুট্যাগ লাগাইছি। এতে আবার কার অনুমতি নিতে হবে। আমাদের কারও অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। আমাদের মাটি আমরা বিক্রি করবো না ফেলে দিবো সেটা আমাদের ব্যাপার। আমরা কারো তোয়াক্কা করি না।

বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়ার চিত্র দেখা যায়নি। ফলে এলাকার সচেতন মানুষ এব্যাপারে জেলা প্রশাসক সহ বিভাগীয় কমিশনার ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ খবর

spot_img
আরও খবর
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here