রাজধানীর মিরপুর ১০ আবাসিক এলাকায় অবৈধ “নিডল থ্রেড ফ্যাশন” গার্মেন্টস এ “ফাতেমা” নামে এক নারী কর্মী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও খোদ মিরপুর ১০ আঞ্চলিক সিটি কর্পোরেশনের পাশে (বাড়ি নং: ১৯, রোড:০৬, ব্লক: এ, মিরপুর ১০) আবাসিক এলাকায় (ট্রেড লাইসেন্স, ট্যাক্স ভ্যাট, ফায়ার, ইত্যাদি) লাইসেন্সবিহীন গার্মেন্টস ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনার তথ্য পাওয়া গেছে।
গার্মেন্টস কর্মী ফাতেমা গণমাধ্যমকে জানান তিনি কর্মক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত খারাপ ব্যবহার ও বেতন ভাতা প্রদানে বিলম্বের কারণে তিনি কর্মক্ষেত্র থেকে মৌখিক অব্যাহতি জানিয়ে তার বকেয়া “সেপ্টেম্বর” মাসের বেতন চাইতে গেলে গার্মেন্টস মালিক “পাপড়ি সরকার” এবং তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নিজস্ব নারী কর্মী দ্বারা প্রতিষ্ঠানের ভেতর সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে চড়-থাপ্পড় ও শারীরিক প্রহার করেন এবং বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে অস্বীকার জানিয়ে চুল ধরে অফিস থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।
এ বিষয়ে আরো বিস্তর অনুসন্ধানে জানতে পারি বকেয়া বেতন পরিশোধে অস্বীকার এবং বকেয়া বেতন তিন থেকে চার মাস বকেয়া রেখে কর্মীকে কর্মস্থল থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া তাদের নিত্যদিনের কাজ।
প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোঃ হাবিবুর রহমান নামে আরেক কোয়ালিটি কন্ট্রোল কর্মী বকেয়া বেতন না দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ জানান।
“নিডল থ্রেড ফ্যাশন” গার্মেন্টসের মালিক “পাপড়ি সরকার” ও তার স্বামী “বিরেন সরকার” কে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি স্বীকার করেন কিন্তু এটা কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে বলে ও জানান।
অভিযোগকারী কর্মীদের বেতন খুব দ্রুতই পরিশোধ করে দিবে বলে জানান।
বিশ্বস্তসূত্রে জানতে পারি তিনি এ প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি তিনি “সিরাজগঞ্জ ফ্যাশন” গার্মেন্টস নামে একটি প্রতিষ্ঠানে “প্যাটার্ন মাস্টার” পদে চাকরি করেন তার এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তার স্ত্রী “পাপড়ি সরকার” দেখাশোনা করেন।
“নিডল থ্রেড ফ্যাশন” এর লাইসেন্স এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দেখতে চাইলে পাপড়ি সরকার জানান তাদের লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় না এবং কোম্পানি লোকশানে আছে এজন্য তারা লাইসেন্স করেন নাই, কখনো প্রয়োজন হলে তখন দেখে নিবেন বলে জানান।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে সংবাদ না প্রচারের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হুমকি-ধামকি ও সময়মতো ক্ষমতা দেখিয়ে দিবেন বলে বিভিন্ন পরিচয়ে মুঠোফোনে ফোন দেয়া হয়।
মিরপুর একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এই এলাকায় বর্তমানে অজস্র ছোট বড় গার্মেন্টস, শিল্প-কারখানা, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি স্থাপনা রয়েছে। এরই মধ্যে এ ধরনের অবৈধ স্থাপনা এবং তার যত্রতত্র ব্যবহার সরকারের নিয়ম-নীতির কোনো প্রকার তোয়াক্কা না করে এ ধরনের অবৈধ গার্মেন্টস পরিচালনার বিষয়ে দায়িত্বরত প্রশাসন, উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।