মুুখে শুধু বলতে পারেন তার নাম আমেনা। বয়স আনুমানিক ২৮ বছর। বাবার নাম কুদ্দুস মিয়া ও মায়ের নাম শরিফা। কিন্তু ওই নারী বলতে পারেননি তার গ্রাম বা বাড়ির ঠিকানা। শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করা ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এমন তথ্য জানান স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী মো. শান্ত শিফাত। পরে খবর পেয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া।
শুক্রবার (৩ মে) সকালে ওই নারীকে গাজীপুরের পূবাইল সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছে দেন ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ সদস্যরা।
স্বেচ্ছাসেবী মো. শান্ত শিফাত জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ ভবনের পাশে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন তিনি। খবর পেয়ে ইউএনও মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীর খাবারের ব্যবস্থা করেন এবং থানায় সাধারন ডায়েরী করার পরামর্শ দেন শান্তকে।
পরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারী নিরাপত্তাহীনতায় আছেন এই মর্মে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন শান্ত। এরপর ইউএনও’র নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্য, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারী, স্থানীয় সেচ্ছাসেবী মো. শান্ত সিফাত ও মঞ্জুরুল ইসলামের সহযোগিতায় ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে থানার পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে গাজীপুরের পূবাইল সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠান ইউএনও।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সানজা হোসাইন সানী বলেন, ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশনায় ওই নারীকে উদ্ধার এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী নিজের নাম, বাবা ও মায়ের নাম ব্যতীত আর কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তাকে গাজীপুরের পূবাইল সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুরের পূবাইল সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ইউএও এর নির্দেশ আশ্রয় কেন্দ্রে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে হস্তান্তর করেছেন পুলিশ। আইনুযায়ী সরকারিভাবে ওই নারীর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।