কয়েকদিন আগে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে স্বামী রকিব সরকারের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের খবর সবাইকে জানান চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। সেই বিচ্ছেদের খবরে চমকে উঠেছেন মাহির সহকর্মী থেকে শুরু করে তার ভক্ত-দর্শকরাও। কারণ গত মাসেও নির্বাচনের প্রচারণায় মাহির সঙ্গে ছায়ার মতো থেকেছেন স্বামী রকিব। প্রতিটি প্রচারণাতেই তার দেখা মিলেছে। কেউ আঁচই করতে পারেননি মাহি-রকিবের দাম্পত্য জীবনে ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
মাহি নিজের ভিডিওবার্তায় বলেন, বেশ আগে থেকেই আমি ও রকিব আলাদা থাকছি। আমরা দুজন মিলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিচ্ছেদের। কীভাবে তা হবে সেটাও দুজন মিলেই ঠিক করবো। মাহি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার ছেলে ফারিশের জন্য সবাই দোয়া করবেন। স্বামীর প্রশংসা করে বলেন, রকিব খুব ভালো মানুষ।সে খুব যত্নবান। কিন্তু বিচ্ছেদের মূল কারণ সম্পর্কে খোলাসা করেননি এ নায়িকা।
এদিকে মাহির ভিডিও বার্তার পর পরই মাহির স্বামী রকিব সরকার বিচ্ছেদের বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, আপনারা মাহির কথা তো শুনেছেন। আমি এখনই কিছু বলতে চাই না। তবে দ্রুতই হয়তো ভিডিও বার্তায় আমিও এ বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার করবো। এদিকে পরিষ্কার তো দূরের কথা, বরংচ মাহি ও রকিব দুজনের ফেসবুক দিচ্ছে অন্য আভাস।
মাহি তিন দিন আগেই রাত ৩ তিনটার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে জানান তার একা একা লাগছে! অন্যদিকে কাছাকাছি সময়ে রকিব সরকারও মাহি ও সন্তান ফারিশের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন নিজের। সেই ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, তোমাতেই ডুবে আছি। শুধু তাই নয়, গতকাল রকিব তার ফেসবুক ওয়ালে ছেলে ফারিশকে নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে রকিব ফারিশকে নিয়ে নানা জায়গায় ঘুরছেন।
তাদের দুজনের ফেসবুক পোস্ট ইঙ্গিত দেয়, এখনো একে অপরকে মিস করেন তারা। এমনকি এসব পোস্টের বিপরীতে অনেকেই তাদের এক হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অনেকে বলছেন, অন্তত ছেলের জন্য হলেও অভিমান ভুলে এক হওয়া উচিত তাদের। অনেকে আবার বলছেন, মাহি-রকিব আসলে বিচ্ছেদ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন। কোথাও না কোথাও তারা এখনো একে অপরের প্রতি টান অনুভব করছেন। যার ফলে এমন পোস্ট পাওয়া যাচ্ছে তাদের কাছ থেকে।
