বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৪
Homeঅপরাধবাসচাপায় আহত বৃদ্ধের ছবি তোলায় কলেজ শিক্ষককে পেটালো শ্রমিকরা

বাসচাপায় আহত বৃদ্ধের ছবি তোলায় কলেজ শিক্ষককে পেটালো শ্রমিকরা

spot_img

যশোরের চৌগাছায় বাসচাপায় আহত বৃদ্ধ ও গাড়ির ছবি তোলায় আবদুল মাজিদ (৪৩) নামে এক কলেজ শিক্ষককে মারধর করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এ সময় তার পকেটে থাকা নগদ এক লাখ টাকাও ছিনিয়ে নেন হামলাকারীরা।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চৌগাছা উপজেলা শহরের যশোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আবদুল মাজিদ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি চৌগাছা উপজেলার এবিসিডি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত কলেজ শিক্ষক আবদুল মাজিদ।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আবদুল মাজিদ জানান, এদিন সকালে তিনি চৌগাছা শহরের বিশ্বজিৎ স্যানিটারিতে মালামাল কিনতে যান। এ সময় পাশেই হাসিব ইলেকট্রনিক্সের সামনে লোকজনের জটলা দেখে এগিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন একটি বাসের চাকার নিচে এক বৃদ্ধের একটি পা চাপা পড়ে আছে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ওই বৃদ্ধকে ভ্যানে হাসপাতালে পাঠানোর উদ্যোগ নেন তিনি। ওই বৃদ্ধের দুটি ও বাসের একটি ছবিও তোলেন। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে বিশ্বজিৎ স্যানিটারিতে চলে আসেন তিনি।

শিক্ষক আরও জানান, সেখানে অবস্থানকালে বাস পরিবহন শ্রমিক সোহাগের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তাকে বেদম মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তাকে ভ্যানে করে বাস মালিক সমিতির অফিসে নেওয়া হয়। সেখানে নিয়েও মারধর করা হয়। আলমগীর নামে এক ব্যক্তি এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। শিক্ষকের পকেটে থাকা নগদ এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান হামলাকারীরা। আবদুল মাজিদকে উদ্ধার করে প্রথমে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিচিত্র মল্লিক বলেন, আবদুল মাজিদের হাত ও পায়ের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রেফার করা হয়। এরপর তাকে যশোরে ভর্তি করা হয়েছে।

চৌগাছা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনেছি। কাল আমাদের সভা আছে। সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, শিক্ষককে মারধরের বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ খবর

spot_img
আরও খবর
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here