কহিনুর পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ৭নং বগা ইউনিয়নের ছেলে গোপাল (১৭) মিস্ত্রিকে নিয়ে বগা বন্দরের পশ্চিম পাশে একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে আসছেন সুরামনি । বয়স ষাটার্ধ। কষ্টের কোন শেষ নেই। স্বামী যুগোল মিস্ত্রীকে হাড়িছেন কয়েক বছর আগে। তবু বেঁচে আছেন একমাত্র অবলম্বন ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে। একদিন হয়ত সুখ এসে ধরা দেবে সেই আশায়। অন্যের দেয়ায় চলে তার সংসার। কখনও খেয়ে কখনও না খেয়ে। নেই মাথা গোজার ঠাই। চিন্তায় রাতে ঘুম আসেনা সুরামনির। কোন জনপ্রতিনিধি নিচ্ছেন না তার খোঁজখবর। সমাজের বিত্তশীলরাও উদাসিন। ঠিক এমনই এক মুহুর্তে সুরামনির কপাল খুলে গেলো এক মানবিক ব্যক্তির দেখা পেয়ে। মানবিক ওই ব্যক্তি আর কেউ নয়, তিনি হলেন বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী।
বগা ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রী কলেজের পূর্ব পাশে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে হতদরিদ্রদের জন্য নির্মিত আশ্রায়ন প্রকল্পের ২৫ টি ঘর নির্মাণের কাজ পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী। এসময় সুরামনি কে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করতে দেখে তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে একটি সরকারি ঘরের ব্যবস্থা করে দেন মানবিক ওই ইউএনও। ঘর পেয়ে আনন্দে ভাসছেন ওই বৃদ্ধা।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এখন আমার কষ্ট দুর হলো। মরার আগে একটু শান্তিতে থাকতে পারবো। আমার মাথা গোজার ঠাই করে দেয়ার জন্য মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।