বুধবার, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫
Homeশিক্ষাঙ্গনপটুয়াখালী ভার্সিটিতে শিক্ষার্থীর ভর্তি জালিয়াতি নিরব ভূমিকায় প্রশাসন

পটুয়াখালী ভার্সিটিতে শিক্ষার্থীর ভর্তি জালিয়াতি নিরব ভূমিকায় প্রশাসন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :

spot_img

ইয়াসিন আরাফাত রাবিব, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।

তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় তিনি অন্য একজনকে দিয়ে প্রক্সি দিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানা যায়। সম্প্রতি পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির অনুসন্ধানে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির অনুসন্ধানে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন ফরম পূরণের সময় রাবিব সব তথ্য সঠিক ভাবে পূরণ করলেও তার ছবির জায়গায় অন্য একজনের ছবি বসিয়ে দেন। ভর্তি পরীক্ষার দিন রাবিবের পরিবর্তে অন্য ব্যক্তি পরীক্ষা দেয়। এমনকি ভর্তির দিনও অপর ব্যক্তিই এসে ভর্তি কার্য সম্পন্ন করে। অনুসন্ধানে রাবিবের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের ছবির সাথে রাবিবের চেহারার মিল পাওয়া যায়নি।

বিষয়টা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত সহ সংশ্লিষ্ট অনুষদের বেশ কয়েকজন শিক্ষককে জিজ্ঞেস করা হলে তারাও ভর্তি জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানান। তাছাড়া তৎকালীন ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটিও তার জালিয়াতির বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। এ প্রসঙ্গে ২০১৭-১৮ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক চিন্ময় বেপারী জানান, “আমরা অভিযুক্ত ছাত্রের ব্যাপারে খোঁজ করেছি, ভর্তি ফাইলের ছবির সাথে তার চেহারা মিল পাওয়া যায়নি। যে ব্যক্তি পরীক্ষা দিয়েছে ভর্তির দিন সে ব্যক্তি এসে ভর্তি হলেও পরবর্তীতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী এনরোলমেন্টের সময় তার নিজের ছবি দিয়ে ফরম পূরণ করেছে।”

এসময় তিনি আরও জানান, “ডিন অফিস ভর্তির ফাইলগুলোর সাথে পরীক্ষার এনরোলমেন্ট ফরম চেক করলে এ সমস্যা হতো না। এ সমস্যা সমাধান ভর্তি ফরমের এক কপি ডিন অফিসে রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

তবে শুধু ইয়াসিন আরাফাত রাবিবই নয়, একই প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী এমনটা আশংকা করছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. হেমায়েত জাহানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রক্সি সংক্রান্ত কোন ঘটনা ঘটে থাকে তবে সেটি বর্তমান কিংবা প্রাক্তন যে ছাত্রই হোক না কেন সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল করবে।”

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত রাবিবের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি। । #

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ খবর

spot_img
আরও খবর
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here