বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
Homeবরিশালপটুয়াখালী ভার্সিটিতে, বঙ্গবন্ধু হলকে বিজয়-২৪’ নামকরণের দাবি

পটুয়াখালী ভার্সিটিতে, বঙ্গবন্ধু হলকে বিজয়-২৪’ নামকরণের দাবি

দুমকি উপজেলা( পটুয়াখালী) প্রতিনিধ :

spot_img

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তনের জন্য রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করেছেন। প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী এ দাবিতে স্বাক্ষর করেন। তারা বর্তমান হলের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর পরিবর্তে ‘বিজয়-২৪’ করার দাবি জানিয়েছেন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় উপাচার্যের হাতে তুলে দেয়া এ আবেদনে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, বর্তমান হলের নাম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বহন করা মানে তাদের মতে বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রতীককে সমর্থন করা।

তারা দাবি করেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনামলে সাধারণ মানুষের ওপর দমনপীড়ন চালানো হয়েছে, যা তাদের কাছে অত্যন্ত ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফ্যাসিস্ট পিতা শেখ মুজিবের নামে আমাদের হলের নাম আর দেখতে চাই না। এই নাম থাকা মানে জুলাই বিপ্লবের বীর শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করা।

তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয়-২৪’ রাখা হোক। একইসাথে আবাসিক হল থেকে আওয়ামী লীগের প্রতীক ও মুরাল অপসারণেরও দাবি জানানো হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের মতে, ‘বিজয়-২৪’ নামটি তাদের আন্দোলন ও জুলাই বিপ্লবের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে এবং এই স্মৃতি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বায়ান্ন, একাত্তর, নব্বই, ৭ নভেম্বরের সিপাহি জনতার বিপ্লবের সাথে ২৪ এর এই গণআন্দোলন একসূত্রে গাঁথা। ফ্যাসিবাদের সময় দীর্ঘদিন ধরে জাতিকে সঠিক ইতিহাস থেকে দূরে রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা হলের নাম পরিবর্তনে যে দাবি জানিয়েছে তার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাস সংস্কারের পাশাপাশি এ জুলাই বিপ্লবের স্মরণে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তর বিভিন্ন স্থাপনা করার পরিকল্পনা রয়েছে তার প্রশাসনের।।#

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ খবর

spot_img
আরও খবর
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here