দুমকি উপজেলা(পটুয়াখালী )প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলাস্থ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ ওবায়দুল ইসলাম ও উপ-পরিচালক সমীরন্দ দাসের, রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, ১৬ অক্টোবর পবিপ্রবির পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস বিভাগের পরিচালক (চুক্তিভিত্তিক) প্রকল্প পরিচালক মোঃ ওবায়দুল ইসলামও উপ-পরিচালক সমীরন্দ দাস বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। যার ডকেট নম্বর 86 97 ও 8698 এবং রকেট নম্বর 86 99 , প্রকল্প পরিচালক সর্বমোট ছয়বার রেজিস্টার বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দেন। সর্বশেষ ১৬ অক্টোবর আবারও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রকল্পে কর্মরত ছিল উপ-পরিচালক সমীরন্দ দাস ও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। যার পদত্যাগ পত্র এ প্রতিনিধির কাছে সংরক্ষিত আছে। ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০খ্রি. তারিখে এ প্রকল্পে যোগদান করেছিলেন। সাড়ে ৪শ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ স্থবির অবস্থায় ছিল। শারিরীক অসুস্থতা ও পারিবারিক প্রয়োজনে অব্যহতি চেয়েছেন বলে পত্র সূত্রে জানা গেছে। পত্রের অনুলিপি কপি দিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রনালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, পবিপ্রবির ভিসির কার্যালয়।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প পরিচালক মোঃ ওবায়দুল ইসলাম পবিপ্রবির ক্যাম্পাসে মাসে তিন চারদিন অবস্থান করে যার কারন হচ্ছে সে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকে ৫লক্ষ টাকা বেতনে একই সাথে দুটি চাকুরি করে মাসের অধিকাংশ সময় ঢাকা অবস্থান করে এবং পবিপ্রবি ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা দুমকি আসা যাওয়ার অতিরিক্ত টিএ ডিএ বিলও উত্তোলন করে থাকে বলে একাধিক সূত্র জানায়। সূত্র আরও জানায় পবিপ্রবির প্রকল্প পরিচালক সাড়ে ৪শ কোটি টাকার প্রকল্পের বিভিন্ন ঠিকাদারদের কাছ থেকে অতিরিক্ত সুবিধা নিয়ে ঢাকা শান্তি নগরে কয়েক কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছে বলে জানা গেছে।