ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথগ্রহণ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৫ উপদেষ্টা। তবে অন্য দুই উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও ফারুকী আযম ঢাকায় না থাকায় পরে শপথগ্রহণ করবেন বলে জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯. ৩০ টার দিকে বঙ্গভবনে সবাই শপথগ্রহণ করেন।
জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মাধ্যমে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন বঙ্গভবন জামে মসজিদের পেশ ইমাম সাইফুল কাদির।
প্রথমে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। পরে অন্যান্য উপদেষ্টাদের শপথ বাক্যও পাঠ করান রাষ্ট্রপতি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বাংলাদেশ নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতসহ প্রায় ৪০০ দেশি-বিদেশি অতিথি যোগদান করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৬ উপদেষ্টা হলেন।
প্রধান উপদেষ্টা : শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বাকি ১৬ উপদেষ্টা হলেন। – বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণার (উবিনীগ) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ডা. বিধান রঞ্জন রায়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমীর আ ফ ম খালিদ হাসান, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরজাহান বেগম, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ ও মুক্তিযুদ্ধে অপারেশন জ্যাকপটের উপ-অধিনায়ক ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। পরেরদিন ৬ আগস্ট বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।