নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল ১ আসনের নৌকার প্রার্থী বিএম কবিরুল হক মুক্তির বিশাল নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দক্ষিণ বঙ্গের কালো মানিক হিসেবে পরিচিত কবিরুল হক মুক্তি। যিনি ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতা। বাবা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এখলাছ উদ্দীন আহম্মেদ। তিনি ছিলেন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন সহকর্মী। তারই সন্তান কবিরুল হক মুক্তি। গত দুইবার নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং একবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য হয়েছেন। এবারো তিনি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন।
দল এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জীবন উৎম্বর্গ করে প্রতিদিন গ্রাম-গন্জের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে পথসভা থেকে শুরু করে দ্বারে দ্বারে ভোট চাইছেন।
নেতার আগমনে পাড়া-মহল্লার মানুষদের মধ্যে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পরে। সাধারণ মানুষ ছুটে আসেন তার কাছে। শুনছেন নতুন বছরে এলাকার উন্নয়নে তিনি কি ভুমিকা রাখবেন সেই কথা।
আগামি ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিটি ইউনিয়ন,ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ডে পথসভা করেছেন। বুধবার(৩ জানুয়ারি) কালিয়া উপজেলার চাচুড়ি-পুরুলিয়া স্কুল মাঠে নির্বাচনী এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবিরুল হক বলেন, একজন মা যেমন প্রসব বেদনা সহ্য করে সন্তান জন্ম দেন, শিশুটিকে লালন-পালন করে বড় করে তোলেন,তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পাকিস্তানীদের দোসররা সেই স্বপ্নকে বানচাল করতে আবারো আগুন সন্ত্রাসে মেতে উঠেছে। এখনই সময় এসেছে এদের প্রতিহত করার।
তিনি বলেন,শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামাত জোট দেশকে আবারো তলাবিহিন ঝুড়ি বানাতে চাইছে । ব্যালটের মাধ্যমে ভোটে যখন জিততে পারবে না তখন আগুন সন্ত্রাসে মেতে উঠেছে।
তিনি বলেন,তারেক জিয়া বিদেশে বসে স্বাধীনতা বিরোধীদের উষ্কানী দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। আগামি ৭ জানুয়ারি নৌকা প্রতীকের নির্বাচন। শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নির্বাচন। তিনি সবাইকে কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রদানের আহবান জানান। শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরণ করার আহবান জানান।
দুপুরের পর থেকে নির্বাচনী জনসভায় গ্রাম-গন্জের প্রতিটি এলাকা থেকে দলে দলে মানুষ জড়ো হতে শুরু করেন। অনেকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে জনসভাস্থলে জড়ো হন।