দুমকি উপজেলা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলাস্থ পাঁচটি ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। উপজেলা শিক্ষা ও মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৬০টি প্রাথমিক, ২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২০টি মাদ্রাসা ও ৯টি কলেজ রয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৬টিতে, ২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১টিতে, ২৩টি মাদ্রাসার মধ্যে ৩টিতে এবং ৯টি কলেজের মধ্যে মাত্র ৩টিতে শহীদ মিনার রয়েছে।
কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার অভাবে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। ৩১ আগস্ট ২০২০ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর মাউসি’র পরিপত্রে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নাই, তাদেরকে স্ব-ব্যবস্থাপনায় অবিলম্বে শহীদ মিনার নির্মাণ করে ছবিসহ আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের মাধ্যমে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হলো। উপজেলা পরিষদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারগুলো অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে বলে সুধীজনরা বলেন ,তবে শিক্ষকরা ও অভিভাবকরা জানান, প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হলে শিক্ষার্থীদের ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে অধিকতর জ্ঞান অর্জন হবে।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা জানান, সরকারি নির্দেশনা থাকলেও আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে স্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এলাকার দানবীর ও সমাজসেবকদের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। এছাড়া প্রতি বছর স্ব-স্ব বিদ্যালয়ে সাময়িকভাবে কলাগাছ, কাঠ ও বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে দেখা যায়। শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করার করা দাবি জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদরুন নাহার ইয়াসমিন এ প্রতিনিধিকে জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পত্র পেয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য সব প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে পর প্রেরণ করেছি এবং মৌখিকভাবেও পরামর্শ দিচ্ছি বলেও জানান।