বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৪
Homeশিক্ষাঙ্গনদিনাজপুরে বুকে এতিম শিশুদের কোরআনের আলোক রশ্নি

দিনাজপুরে বুকে এতিম শিশুদের কোরআনের আলোক রশ্নি

spot_img

বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নমূলক মেগা প্রকল্পের মধ্যে দোস্ত এতিম শিশুদের জন্য ক্যাপিটেশন ব্যবস্থাটাও একটি সেবামূলক প্রকল্প। সারা বাংলাদেশে এতিম শিশুদের জন্য প্রতিমাসে জনপ্রতি ২০০০ টাকা করে প্রদান করে থাকেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর। ক্যাপিটেশন তালিকাভুক্ত এতিমখানা গুলোতে পিতা মাতা হারা যে সকল এতিম শিশু রয়েছেন তাদেরকে জন প্রতি দুই হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিয়ে থাকেন।

আলহাজ্ব রুস্তম আলী শাহ হাফিজিয়া এতিমখানা । খুবই সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে এতিম শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে থাকেন ।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এতিমখানা সরকারি ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ড প্রাপ্ত। সরকার থেকে ৪০জন এতিমের বরাদ্দ পেয়ে থাকেন। সরজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে দেখা যায় উপস্থিত এতিমের সংখ্যা প্রায় ৬০জনের বেশি।

নূরানী নাজেরা হেফজ বিভাগ মোট ছাত্রের সংখ্যা প্রায় ১২৪ জন । মাদ্রাসায় এতিম দোস্ত অসহায় সুবিধা বঞ্চিত শিশুর সংখ্যা প্রায় ১২০ জন। মাদ্রাসায় সর্বমোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা চারশত। কথা বলি এতিমখানার মোহতামিম মাহতাবউদ্দিন এর সাথে। তিনি প্রতিবেদক কে জানান আমাদের মাদ্রাসায় সর্বমোট চারশত জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে।

এর মধ্যেপ্রায় সকল শিক্ষার্থী অসহায়।আমরা বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ক্যাপিটেশন পেয়ে থাকি। আমাদের মাদ্রাসায় ৪০ জন এতিম শিশুদের প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে প্রদান করে থাকেন। আমাদের মাদ্রাসায় বর্তমানে অনেক বেশি এতিম দোস্ত অসহায় ছাত্র ছাত্রী রয়েছেন।

যাদেরকে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহায়তা ও এলাকাবাসীর সহায়তায় বরণ পোষণ সহ তাদের যাবতীয় কিছুর ব্যাবস্থা করে থাকি। বাংলাদেশ সরকারকে আমাদের আলেম সমাজের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি যদি আমাদের এতিমখানার এতিম শিশুদের বরাদ্দের সংখ্যা আরো একটু বাড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলে আমাদের মাদ্রাসায় পড়াশোনা করা ছাত্রদের জন্য অনেক উপকার হবে পাশাপাশি আমরা আরো সুন্দরভাবে আমাদের মাদ্রাসাটি পরিচালনা করতে পারবো।কথা বলি আলহাজ্ব রুস্তম আলী শাহ এতিমখানা ও মাদ্রাসার সভাপতি সেকান্দার আলীর সাথে। তিনি প্রতিবেদককে বলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা এতিম অসহায় শিশুদের জন্য যে মহৎ উদ্যোগটি গ্রহণ করেছেন এটি দ্বারা প্রমাণিত হয় তিনি এতিমদের কতটা ভালোবাসেন।

আমার এতিখানায় প্রায় চারশত জন ছাত্রছাত্রী রয়েছেন।ল কথা বলি দিনাজপুর জেলা এমদাদুল হক প্রামাণিক এর সাথে। তিনি প্রতিবেদককে জানান আমার দিনাজপুর জেলার ভিতরে যে কয়টা ক্যাপিটেশন তালিকা ভুক্ত এতিমখানা রয়েছে সেগুলোর কোনোটাতে যদি কোন ধরনের সরকারি নিয়ম-নীতির ব্যাত্যয় ঘটে তাহলে সেটার বিরুদ্ধে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো। পাশাপাশি যে সকল এতিমখানায় বরাদ্দ বাড়ানোর উপযোগী মনে হয় এবং যথ উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে আমরা সেটির জন্য উদ্রতন কতৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করবো। দ্রব্যমূল্যের উদ্রগতীর বাজারে এতিম অসহায় দুস্ত,সুবিধাবঞ্চিত ছাত্রদের থাকা খাওয়া সহ সকল চাহিদা মেটাতে হীম সিম খেয়ে যাচ্ছেন এতিম খানা কর্তৃপক্ষ।। সরকারের সু দৃষ্টি কামনা করেন এবং সমাজসেবা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বরাদ্দের সংখ্যাটা একটু বৃদ্ধি করার অনুরোধ জানান মাদ্রাসার মোহতামিম ও কর্তৃপক্ষ সহ এলাকাবাসী।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ খবর

spot_img
আরও খবর
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here