সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
Homeঅপরাধঘুষ নিয়ে লাইসেন্স বিহীন প্রতিষ্ঠান ও অনভিজ্ঞ কোম্পানীকে কাজ দেওয়ার অভিযোগ

ঘুষ নিয়ে লাইসেন্স বিহীন প্রতিষ্ঠান ও অনভিজ্ঞ কোম্পানীকে কাজ দেওয়ার অভিযোগ

spot_img

(ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন প্রকল্পে দূর্নীতির অভিযোগ। বিজ্ঞ আদালতে মামলা, রিটেন্ডার হতে পারে সমাধান এমনটাই দাবী সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞজনদের)

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এর বাস্তবায়নে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তর করার প্রয়াসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট, তারই তত্ত্বাবধানে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আইসিটি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক এর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন প্রকল্প। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এর সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা এখানে নিয়মিত কাজ করে এদের মধ্যে বেশ কিছু ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠান সংবাদের প্রতিবেদকে জানায় ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নে খাল কেটে কুমির এনেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর, জনাব প্রনব কুমার সাহাকে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়, তিনি এই দপ্তরের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন নিয়োগ বানিজ্য সহ দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িয়ে পড়লে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে একটি অফিস আদেশ স্মারক নং প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অন্যত্র বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু তিনি কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে কোন এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আরো অতিরিক্ত দুইমাস ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন প্রকল্পে থেকে এই প্রকল্পকে সর্বনাশ করে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করে রিতিমতো আঙুলফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন এই মুহুর্তে ব্যবস্থা নিলে বেড়িয়ে আসবে থলের বিড়াল।

ডিজিটাল সংযোগ প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে বেশ কিছু কোম্পানী এখানে টেন্ডার জমা দেয়, কিন্তু যাদের পপুলারিটি আছে, জনবল আছে তাদেরকে কাজ না দিয়ে ভালো অংকের টাকার বিনিময়ে অনভিজ্ঞ এবং জনবল কম এ রকম ৬০% কোম্পানীকে কাজ দেয়া হয়েছে যারা আদৌ এই কাজ সম্পন্ন করতে পারবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে আইসিসি কমিউনিকেশন লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সাইফুল ইসলাম বিজ্ঞ উচ্চ আদালত হাইকোর্ট ডিবিশন স্পেশাল অরিজিনাল জুড়িডিকশনে রিট পিটিশন দায়ের করেন, যার নং ৩০১/২৪ তাং- ২২/০১/২৪, অনুসন্ধান করে আরোও জানা যায় যে সকল কোম্পানী গুলোকে কাজ দেয়া হয়েছে তাদেরকে নোহা দেওয়ার সাথে সাথে ১৫% টাকা প্রদান করা হবে সেখান থেকে আবার ৫% ব্যাংক গ্যারান্টি হিসেবে কেটে রাখা হবে,বাকী ১০% টাকা দিয়ে কাজ সম্পন্ন করবে সেই প্রত্যাশায় বেশ কিছু কোম্পানী অধীক লোভে ইডিসি পাওয়ার জন্য ৫০ লাখ থেকে ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ প্রদান করে যার নেপথ্যে পিডি প্রনব কুমার সাহা এই অবৈধ কার্যক্রম গুলো পরিচালনা করেন। আবার এর মধ্যে বেশ কিছু কোম্পানীকে কাজ দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রনব কুমার সাহা এবং তার চক্র তাদেরকে কাজ না দিয়ে তাদের চেয়ে যারা বেশি টাকা ঘুষ দিয়েছে তাদেরকে কাজ দিয়েছে বলে অভিযোগ আছে। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বলেছেন এ স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে না খায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা বোনেরা কাপড় না পায়। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের মানুষ যারা আমার যুবক শ্রেণী আছে তারা চাকরি না পায় বা কাজ না পায়। অনেকেই নাম জানাতে ইচ্ছুক নয় যারা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এখানে কাজ পায়নি তারা সংবাদের প্রতিবেদককে জানায় কাজ না পাওয়ায় দুঃখ নেই, আমাদের আফসুস হচ্ছে এতো সুন্দর প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কিছু অপরিপক্ষ দুর্নীতিগ্রস্থ গোষ্ঠির হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। টেন্ডারে অংশগ্রহন করা কোম্পানীগুলোর যাচাই বাছাইয়ে ফিনানশিয়াল পার্টে ১০০ নাম্বারের মধ্যে টেকনিক্যাল ৮০ এবং ফিনানশিয়াল ২০ নাম্বার। কিন্তু এখানে যারা পার্টিসিপেন্ট করেছে তারা কেউ জানে না কার কি অবস্থা, কারণ ফিনানশিয়াল পার্টটি উন্মুক্ত করলে টেকনিক্যাল কে কতো পেয়েছে যানা যেত। বিষয়টি প্রকল্পদের পিডি এবং তার চক্র যার নিকট থেকে বেশি টাকা পেয়েছে তাদেরকে গনহারে যাচাই না করে কাজ দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তর করতে তরুন প্রজন্ম হচ্ছে আমাদের সৈনিক। তরুনদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারলে ২০৪১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। ইডিসি বাই টেন্ডার সাবমিট করার যে ক্রাইটেরিয়া ছিল তার কোন কিছুই এই প্রকল্পে মানা হয়নি। শুধু স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের যে পরিকল্পনা নিয়ে প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার অনুমোদন করেছে তার কোন ছিটাফোটাও এর মধ্যে বাস্তবে বিদ্যমান নাই। এই প্রজেক্ট থেকে দুর্নীতির দায়ে পূর্বেই পিডি প্রনব কুমার সাহাকে অন্যত্র বদলি করা হলেও তিনি ঝোপ বুঝে কোপ মেরে প্রজেক্টের সর্বনাশ করে সকল অপকর্মের ষোল কলা সম্পন্ন করে অন্যত্র পোস্টিং নেয়। তার উপরে যারা উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিল যারা সচিব, যুগ্মসচিব এর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে অদৃশ্য শক্তির ছোয়ায় পিডির সকল অপকর্মকে সমর্থন করেছে তাদের চোখে ছিল কাঠের চশমা।

এ বিষয় নিয়ে আইটি বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান সম্পূর্ণ বিষয়টি নিখুত ভাবে খতিয়ে দেখে যারা ঘুষ বাণিজ্য করেছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা সহ ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে রি-টেন্ডার এর ব্যবস্থা করে প্রকৃত যোগ্য কোম্পানীগুলোকে বাছাই করে কাজের দায়িত্ব দিলে শতভাগ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে বলে আশাবাদী বলে ব্যক্ত করেন। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের সোপানে তার যোগ্য ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কোন দুর্নীতিগ্রস্থ ঘুসখোর ব্যক্তির স্থান নেই সবাই আসবে আইনের আওতায় এমনটাই প্রত্যাশা সবার আগে সোনার বাংলা পরে অন্য সব, সাধু সাবধান।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ খবর

spot_img
আরও খবর
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here